Image description

বাগেরহাটের চিতলমারীতে একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কর্মীদের বিরুদ্ধে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এক গৃহবধূর হাতের স্বর্ণের আংটি, নাকফুল ও পিতলের বদনা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (০৮ নভেম্বর) ওই গৃহবধূ শ্রাবণী হীরার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ শ্রাবণী হীরা বলেন, তিনি চিতলমারী উপজেলার আড়য়াবর্নি গ্রামের বাসিন্দা। কিছুদিন আগে তিনি ‘ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট’ (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখা থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেন। লাভসহ পরিশোধের কথা ছিল ৪৫ হাজার ১২০ টাকা। কিন্তু তার স্বামী রিপন কাজের জন্য এলাকায় না থাকায় কয়েকটি কিস্তি বাকি পড়ে যায়।

শ্রাবণীর অভিযোগ, গত ২৯ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে এনজিওটির কর্মীরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে অফিসে নিয়ে তাকে ও তার ৩ বছরের শিশুকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। বিকেলে অফিসে ফিরে এনজিও কর্মকর্তারা জোরপূর্বক দুটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নেয় এবং হাতের স্বর্ণের আংটি, নাকফুল ও পিতলের একটি বদনা নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে রাখে।

ভয়ে তিনি এতদিন কাউকে কিছু বলতে পারেননি বলে জানান শ্রাবণী হীরা।

এ বিষয়ে ডিএফইডি চিতলমারী শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথ বলেন, গৃহবধূ শ্রাবণীর কিস্তি বকেয়া ছিল। তার কাছ থেকে নাকফুল নেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখব।

স্থানীয়দের দাবি, এনজিওগুলোর এমন ঋণ আদায়ের পদ্ধতি মানবিক নয়। প্রশাসনের উচিত বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া।