Image description

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়া ডিআইজি এহসান উল্লাহ ১১ দিনেও কর্মস্থলে যোগ দেননি। তিনি কোথায় আছেন কোনো সন্ধানই জানে না একাডেমি কর্তৃপক্ষ। 

 

তবে পালিয়ে যাওয়ার দুই দিন পরে ডাকযোগে ছুটির আবেদন করেছিলেন ডিআইজি এহসান উল্লাহ; যা গৃহীত হয়নি বলে জানান একাডেমি কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে ক্রসফায়ার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিসিএস ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা পুলিশ একাডেমির অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস শাখার দায়িত্বে ছিলেন ডিআইজি এহসান উল্লাহ। তিনি বরিশালের পুলিশ সুপার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাইফুল ইসলাম বলেন, বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। ১১ দিনেও তিনি কর্মস্থলে যোগ দেননি। তবে তিনি ডাকযোগে একটি ছুটির আবেদন পাঠিয়েছিলেন। যেটি গৃহীত হয়নি। তার অনুপস্থিতির কারণে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদার অধ্যক্ষ অতিরিক্ত আইজিপি তৌফিক মাহবুব চৌধুরী জানান, এহসান উল্লাহ ১১ দিন ধরে নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত। এখনো তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একজন এএসপি থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেওয়া ছাড়া কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। কোনো ব্যবস্থা নিতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিতে পারেন। আমরা ডিআইজি এহসান উল্লাহর নিখোঁজের বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।

উল্লেখ্য, সারদায় কর্মরত ছিলেন ডিআইজি এহসান উল্লাহ। বুধবার সকালে পুলিশের একটি দল সারদা পুলিশ একাডেমিতে তাকে আটক করতে অভিযান চালায়। এ খবর আগে থেকেই জেনে যান এহসান উল্লাহ। পরে আটকের খবর জানতে পেরে তিনি একাডেমি থেকে পালিয়ে যান।