Image description

সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশীদ ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভুলভাল বুঝিয়ে মনোনয়নপত্র বাগিয়ে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব চাইনিজ রফিকুল ইসলাম (চাইনিজ রফিক)। এ ছাড়া মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘উদ্ধত আচরণে’র অভিযোগও তুলেছেন তিনি। বলেছেন, যেন বিএনপির নয়, বরং তার চাচাত ভাই ও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদের সমর্থকদের ভোটে নির্বাচিত হতে চান হারুন অর রশীদ।

আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে দলীয় এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব মন্তব্য করেন চাইনিজ রফিক। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বলেন, ‘হারুন অর রশীদ কোনভাবে ভুলভাল বুঝিয়ে তারেক রহমানের কাছ থেকে নমিনেশন বাগিয়ে নিয়েছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- আমরা ধানের শীষের মানুষ, বিএনপির মানুষ। তারেক রহমান যাকে দিবেন, তাকে আমরা মেনে নেব। তাদেরকে আমরা ওয়েলকামও জানিয়েছি।’

অভিযোগ করে চাইনিজ রফিক বলেন, ‘কিন্তু তাদের উদ্ধত আচরণ দেখে মনে হচ্ছে- তারা বিএনপির ভোট নিবে না, তারা তার ভাই ওদুদের, আওয়ামী লীগের ভোট নিয়ে পাস করবে।’

তিনি বলেন, তাই আমরা বলতে চাই, আমাদের পার্টির চেয়ারম্যানকে বলতে চাই, আপনি জনগণের সাথে ছিলেন, জনগণের সাথে আছেন, জনগণ আপনাকে ভালোবাসে। অর্থাৎ জনগণের কথা মাথায় রেখে এইসব অবৈধ, এইসব হাসিনার দালালদেরকে আপনি প্রত্যাখ্যান করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের যাকে ইচ্ছা তাকে নমিনেশন দেন, আমরা একসাথে এই জেলার প্রত্যেকটি প্রত্যেকটি এমপিকে আমরা পাস করিয়ে আপনাকে আমরা উপহার দেব ইনশাল্লাহ।

সমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া জাকা বলেন, ‘আমি হারুন সাহেবের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনি যেভাবেই হোক মনোনয়ন পেয়েছেন। এটা যদিও চূড়ান্ত নয়, কিন্তু আপনার উচিত ছিল- যারা আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে, যারা নির্যাতন উপেক্ষা করার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ঘটিয়েছে, সেই সমস্ত নেতাকর্মীদের সাথে, নেতৃবৃন্দের সাথে আপনার আলোচনা করা এবং দেখা করা। এটা আপনি করেননি, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে জানাতে চাই, আপনারা নেতাকর্মীদের এই দুঃখকে মূল্যায়ন করবেন এবং জেলার প্রতিটি নমিনেশন পুনর্মূল্যায়ন করবেন।’

 

বিএনপি নেতা ইসমাইল বিশ্বাস বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় যাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তারা কেউই বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে কখনোই রাজপথে ছিল না। ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে তারা শপথ গ্রহণ করে আমাদের দলকে গোটা বিশ্বের কাছে ছোট করেছে। আমরা মনে করি, আজকের যে নমিনেশন, এতে তৃণমূলের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়নি। তাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে এই তিন আসনে মনোনয়নের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। যদি তা না হয়, তাহলে রাজপথে কেউ কখনো আন্দোলন করবে না। রাজপথের কর্মী কখনো আর দলের জন্য জীবন দেবে না। আমরা তৃণমূলের ভাষা বলতে চাই। আমরা তারেক রহমানের কথা শুনতে চাই। আমরা দলের শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে রাজনীতি করতে চাই। আমাদের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়নি। আমরা আশা রাখবো দল এই আসন তিনটিতে পুনর্বিবেচনা করবে এবং তৃণমূলের আশা পূরণ করতে সক্ষম হবে।’