Image description
 

আল্লাহর নৈকট্য লাভের সবচেয়ে উত্তম সময় রমজান মাস। এ মাসটির জন্য উন্মুখ থাকেন বিশ্বের অগণিত মুসলিম।  এটি মুসলিমদের জন্য সিয়াম সাধনার মাস, যার প্রতিটি দিন আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য ও সহমর্মিতার অনুশীলন। তাই ২০২৫ সালের শেষ দিকের এ সময়ে ২০২৬ সালের রমজান মাসের জন্য মুসলিম উম্মাহ অধীর আগ্রহে বসে আছে।

 

জ্যোতির্বিদদের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৬ সালে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা যেতে পারে ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে। এ হিসাবে, পূর্বাঞ্চলীয় দেশগুলোতে চাঁদ দেখা যাবে ১৮ ফেব্রুয়ারি এবং রোজা শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। তবে আল-আরাবিয়ার তথ্যমতে, বাংলাদেশে ২০ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) রমজানের প্রথম দিন এবং ২১ মার্চ (শনিবার) ঈদুল ফিতর পালিত হতে পারে।

সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যে ১৪৪৭ হিজরি সনের রমজানের চাঁদ আকাশে উঠবে ১৭ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু ওই দিন সূর্যাস্তের মাত্র ১ মিনিট পরই চাঁদটি অস্ত যাবে। ফলে এটি খালি চোখে আর দেখা যাবে না। তাই ১৮ ফেব্রুয়ারি রমজান শুরু না হয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি হবে। আর সৌদি আরবে ঈদুল ফিতর হবে ২০ মার্চ শুক্রবার। 

এছাড়াও সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসবে। 

যেহেতু মধ্যপ্রাচ্যের এক দিন পর বাংলাদেশে রোজা ও ঈদ হয় তাই বাংলাদেশে ২০ ফেব্রুয়ারি রমজানের প্রথম দিন এবং ২১ মার্চ ঈদুল ফিতর পালিত হতে পারে।

২০২৬ সালে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যেতে পারে ১৬ মে (শনিবার)। এর ভিত্তিতে জিলহজের প্রথম দিন হবে ১৭ মে (রোববার) আর ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ২৬ মে (মঙ্গলবার)। পূর্বাঞ্চলে চাঁদ একদিন পরে দেখা যাওয়ায় সেখানে ঈদ উদযাপন হবে ২৭ মে (বুধবার)।

প্রতিটি দেশের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ এবং চাঁদ দেখা কমিটি তাদের নিজস্ব পদ্ধতি অনুসারে রমজানের শুরু ঘোষণা করবে। বিশেষ করে বাংলাদেশে ১৪৪৭ হিজরির ২৯ শাবান পর্যবেক্ষণের পর রমজান মাসের দিনক্ষণ নির্ধারিত হবে।

চান্দ্র মাস সৌর মাসের তুলনায় ছোট হওয়ায়, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে প্রতি বছর রমজান প্রায় ১০ থেকে ১১ দিন পিছিয়ে আসে।