একঃ
জোহরান মামদানির বিজয় অনেক ক্ষেত্রেই সিগনিফিকেন্ট। জুইশদেরকে নিউ ইয়র্ক ছেড়ে ইসরাইল তাদের দেশে চলে যেতে ডাকছে। ভাবা যায়? ৩ মাস আগেও যাকে কেউ চিনত না, সে আজ বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশের, সবচেয়ে প্রভাবশালী শহরের মেয়র! প্রায় ৬০ জন বিলিওনার মামদানির বিরুদ্ধে মিলিয়ন্স অব ডলার ঢেলেছে। এরা টাকার গরমে সারা বিশ্বকে থোড়াই কেয়ার করত। মানবতা এদের ডেফিনেশনেই উঠানামা করে। টাকার কুমীর মাইকেল ব্লুমবার্গ, জো গেবিয়া, বিল অকম্যান, রোনাল্ড লডারসহ সব ওপেন জায়োনিস্টরা জোট বেঁধে স্মিয়ার ক্যাম্পেইন করেছে। মূলধারার সব মিডিয়াকে এরা কাজে লাগিয়েছে। কি বলে নাই, আর কোন নোংরামিটাই এরা করে নাই? কাজ হয়নি। হেরেছে।
নিউ জেনারেশন, ওল্ড জেনারেশন মিলে এদের সব হিসাবনিকাশ উল্টায়ে দিছে। মামদানির এক লাখ ভলান্টিয়ার অন্ততঃ ১৬ লাখ বাড়িতে নক করেছে। প্রায় আড়াই লাখ মানুষের সাথে কথা বলেছে। ওর এক লাখ ভলান্টিয়ার মানেই যেন ছিল এক লাখ ২৪/৭ মিডিয়া সেল! ওদের সবার হাতের সেল ফোনই ছিল এক একটি অব্যর্থ ড্রোন! সুপার কমিউনিকেশন টীম লেড বাই নিউ জেনারেশন। গুড জম মামদানি!
দুইঃ
এই রকম চমক দুনিয়াতে চলতেই থাকবে। নিকট ভবিষ্যতে বিশ্ব হয়ত অনেক কিছুই দেখবে। অবাক করা গল্পের সূচনা করবে এই প্রজন্ম। এরা এক অর্থে এখন ফ্রি, কারো দ্বারাই কন্ট্রোল্ড না। ট্র্যাডিশনাল থিংকিং এর দিন শেষ। বৃত্তের ভিতর থেকে যারা বেরুতে পারবে না, তারা বুঝতেও পারবে না কি দিয়ে কি হয়ে যাচ্ছে। এমনকি তাদের ঘরের ভিতরেও যে পরিবর্তন হয়ে গেছে, তাও তারা টের পাবেনা।
তিনঃ
বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম না। যারা এর বিপরীত ভাবছে তারা হয়তো ভুল করছে। ওয়েলফেয়ার বেজড রাজনীতি না করলে, লাভ হবে না। ছাত্ররা তা হাতেনাতে দেখিয়ে দিয়েছে। ৩০/৪০ বছর ধরে আপনি পলিটিক্স করে বেড়াচ্ছেন, আবারো ইলেকশন করছেন, আর ভাবছেন আপনার দূর্নীতি আর মাস্তানি মানুষ জানে না - কারণ আপনার মিডিয়া আছে, মাসলম্যান আছে সেইটা মনে হয় এবার হবে না।
এবার যারা নির্বাচন করছে, দেখছি তাদের অনেকেই নতুন। তাকিয়ে আছি তাদের স্ট্র্যাটেজির দিকে, মামদানিকে খুঁজছি, মামদানির কমিউনিকেশন টীমকে খুঁজছি। নতুন নিউ ইয়র্কের মত নতুন বাংলাদেশকেই খুঁজে ফিরছি! হয়তো পেয়েও যাবো ইনশাআল্লাহ্।
[যা বলতে চাইনিঃ ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ইলোন মাস্ক মামদানির বিরুদ্ধে সবচে’বেশী ভোকাল ছিল, কিন্তু এক পয়সার জন্যও ওয়ালেট খোলেনি এই দুই স্মার্ট বয়েজ! দে জাস্ট টক!]
শাহিন সিদ্দিক