স্বৈরাচার হাসিনা দুর্র্নীতি-অনিয়ম ও অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে খাদের কিনারে পৌঁছে দিয়েছিলেন। যে কারণে দীর্ঘদিন বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমর্যাদা তলানীতে ছিল। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের বেশিরভাগ সময়ই অর্থনীতির সূচকগুলো ছিল নিম্নমুখী। এক কথায় অনিয়ম-দুর্নীতির আঁতুরঘরে পরিণত করেছিলো স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর থেকে বহির্বিশ্ব আলাদা দৃষ্টিতে দেখছে বাংলাদেশকে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্য মতে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়েছে তৈরি পোশাক, যার মূল্য ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার এবং এটি দেশের মোট পোশাক রফতানির ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।
ড. ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো চীন থেকে সরে আসছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ভারতের সঙ্গে এখনো রয়েছে টানাপড়েন। আর তাই এসব দেশের কার্যাদেশগুলোই পাচ্ছে বাংলাদেশের পোশাক উৎপাদনকারীরা। ইতোমধ্যে রেমিট্যান্স বেড়েছে। এছাড়া হাসিনা সরকার পতনের পর রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সংশয় থাকলেও ঘটেছে উল্টো। ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী ভাবমর্যাদা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের কূটনৈতিক তৎপরতায় বাংলাদেশের সঙ্গে সবক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে রাশিয়া দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। রাশিয়ার নব-নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার খোজিন সমর্থন, সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এদিকে দেশের সর্বত্রই ভারতীয় দোসরদের আধিপত্য থাকায় বাংলাদেশে বিনিয়োগের অন্যতম সহযোগী চীন এতদিন চুপ থাকলেও ৩ দিনের জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টার গতকালের চীন সফর এবং আগামী মার্চে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনে সর্বোচ্চ স্তরের সফরে আগ্রহী বেইজিং। দুই দেশের সম্পর্কের পাঁচ দশক পূর্তিতে আগামী মার্চে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বেইজিং সফরে নিতে চায় চীন। অপরদিকে আগামী এপ্রিল মাসে ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ইলন মাস্কও বাংলাদেশে আসবেন।
অবশ্য শুধু ইলন মাস্কই নয়, বিশ্বের ব্যবসায়ী মহারথি বা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিরা এ সম্মেলনে আমন্ত্রণের তালিকায় রয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিচিতি ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে সম্মেলনের মাধ্যমে। এমনকি অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবং অরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনও বাংলাদেশে আসতে পারেন। এছাড়া বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ জাপান উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় বড় বড় বিনিয়োগ নিয়ে বসে আছে। জাপান থেকে আমদানি হয়েছে গাড়ি, ইস্পাতের কাঁচামালসহ শিল্পের যন্ত্র। আরো বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজন কূটনৈতিক তৎপরতা। যে পথ ইতোমধ্যে অনেকটাই সহজ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অবশ্য কিছুদিন আগে ভারতের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা বিনোদ খোসলা এক নিবন্ধে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশ কিভাবে একটি সফল রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে এবং এটি ভবিষ্যতে প্রতিবেশী ভারতের একটি শক্তিশালী মিত্র হয়ে উঠতে পারে তা তুলে ধরেছেন।
আর এসব বিষয় বাংলাদেশে আগামী দিনের বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে নিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থনীতিবীদরাও। তাদের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। নানাবিধ কারণে দুই দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ড. ইউনূসের পরিচিতি ব্যবহার করে বাংলাদেশের সুযোগ রয়েছে বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ আকর্ষণের। বর্তমান সরকারের পক্ষেই যা সম্ভব বলে মত তাদের। বিদেশি বিনিয়োগ বা ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হলেও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দেশের মধ্যে গার্মেন্টসে শ্রমিক অসন্তোষ, বড় বড় শিল্পগ্রুপ চালু রাখা নিয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত না নিতে পারা। একই সঙ্গে নানামুখী ভুল সিদ্ধান্ত বা নীতির কারণে অনেক ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে হয়েছে। দেশের বিনিয়োগের অন্যতম নাম শেয়ারাবাজার এখনো সঠিক ধারায় আনা সম্ভব হয়নি। দেশের অর্থনীতির প্রাণ আবাসন খাত এখনো মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। অর্থনীতিবীদরা বিভিন্ন সময়ে বলে আসছেন, কোনো ব্যক্তি অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানের যেন ক্ষতি না হয়। যদিও সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে ইতোমধ্যে বেক্সিমকোসহ একাধিক শিল্পগ্রুপ বন্ধের পথে। একটি প্রতিষ্ঠানেরই ৪০ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত বর্তমান সরকারকে সঠিক নীতি-কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন। আইএমএফ’র চাপে নয়, নিজস্ব চিন্তায় সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যাতে হাসিনা সরকারের সময়ের মতো কানাডার ‘বেগমপাড়া’ এবং মালয়েশিয়ার ‘মাই সেকেন্ড হোম’ তৈরি না হয়। দেশের টাকা যাতে দেশে থাকে। শিক্ষার্থীদের বিদেশে যেতে না হয়। মেধা পাচার না হয়ে দেশের উন্নয়নেই যাতে শিক্ষার্থীদের মেধা কাজে লাগানো যায়। ব্যবসা-বাণিজ্য বা বিনিয়োগের সঠিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তাহলেই বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। কারণ বিশ্ব উন্মুখ হয়ে আছে বিনিয়োগের জন্য। একাধিক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, আগামী দিনে সম্ভাবনার যে হাতছানি অপেক্ষা করছে তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পরিচিতি ও ভাবমর্যাদার কারণে। তাই এটিকেও সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।
সূত্র মতে, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর চীন ও মেক্সিকোয় উৎপাদিত পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের যে নীতি নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাতে বাংলাদেশ লাভবান হবে বলে মনে করছেন দেশীয় পোশাক রফতানিকারকরা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, আমেরিকার পোশাক বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো চীন থেকে সরে আসছে। সেসব কার্যাদেশই পাচ্ছে বাংলাদেশের পোশাক উৎপাদনকারীরা। রফতানিকারকরা বলছেন, চীনের পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো ভবিষ্যতে আরো বেশি বাংলাদেশে আসবে। দামে কম, বেশি পণ্য উৎপাদনের সক্ষমতা এবং কারখানাগুলোতে কর্মীদের নিরাপত্তার উন্নতির কারণে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের পছন্দের গন্তব্য। এসব কারণে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ শুল্ক থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বছরের পর বছর ধরে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ৯৭ শতাংশ পণ্য আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয় না যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাংলদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছেন পোশাক রফতানিকারকরা। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানিকারী হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, চীন ও মেক্সিকোর পণ্যে উচ্চ শুল্ক বাংলাদেশের জন্য সুযোগ তৈরি করবে। চীন ও মেক্সিকো থেকে অনেক পোশাকের কাজের আদেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংকট ও শ্রমিক অসন্তোষের কারণে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কিছু ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে কার্যাদেশ সরিয়ে নিয়েছিল, তারা এখন আরও বেশি ওয়ার্ক অর্ডার নিয়ে ফিরে আসছে। এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি বলেন, এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশকে প্রথমে কিছু প্রস্তুতি নিতে হবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, শিল্প কারখানাগুলো পূর্ণ উৎপাদনে চালানোর জন্য গ্যাস ও বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রায় একই কথা বলেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ট্রাম্প তার ভাষণে চীন ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের কথা বলায় ক্রেতারা এখন বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। একই সঙ্গে আমেরিকার বাজারে অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে দ্রুত বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি এতে করে বাংলাদেশে কাজের অর্ডার বাড়তে পারে। আবার, ওই দেশগুলো থেকে বিনিয়োগ বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হতে পারে। যা বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
এদিকে ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশকে দেওয়া অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা বা জিএসপি প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরই আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তায় নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট আমেরিকান খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো। ফলে দেশের পোশাকের মানও উন্নত হয়েছে। এছাড়া ড. ইউনূসের অবস্থান সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে অগামী দিনে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বহাল হতে পারে। যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি মাইলফলক হতে পারে বলে আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে ভারতে পলায়নকারী হাসিনার আস্থাভাজন ভারত সরকার দেশটি থেকে অনেক পণ্য আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে অন্যান্য উৎস থেকে অমদানি করার সুযোগ তৈরি করেছে। একই সঙ্গে ভারত নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই উৎপাদন করে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতাকে কাজে লাগিয়ে ভারতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাকিস্তান থেকে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করেছে। অবশ্য শুধুমাত্র পাকিস্তান থেকেই জাহাজ আসছে এমন নয়, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের পণ্যও করাচি বন্দর হয়ে পাকিস্তানের জাহাজের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। ভারতকে বাদ দিয়ে অন্যান্য দেশের পোর্টগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। যা খরচ কমার পাশাপাশি আমদানি-রফতানিতে গতি এনেছে। পণ্য আমদানিতে মালদ্বীপ, কলম্বো ও মিয়ানমারকে ব্যবহার করা হচ্ছে। একইভাবে চীন, মিসর, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড থেকেও আমদানি বেড়েছে। পণ্য আমদানিতে ভারতের তালবাহানায় সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপে অন্যান্য উৎস থেকে আমদানি বাড়িয়েছে। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিল থেকে গম, চিনি, গোশত এবং নানা ধরনের শুকনো ফল ও মসলা আমদানি করেছে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়া থেকে আসছে ভোজ্যতেল, রাবার, দুগ্ধপণ্য, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, রাসায়নিক পদার্থ, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য। খাদ্যশস্য ও বীজ, গম এবং ডালের উল্লেখযোগ্য আমদানি রাশিয়ার হাতে। পাশাপাশি রাশিয়া বাংলাদেশকে নানামুখী সহায়তা করতে উদগ্রীব।
এছাড়া ভারত ভিসা বন্ধ করায় দেশের ট্যুরিজমের উন্নয়ন করার ব্যপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে চিকিৎসা খাতে বিদেশগামিতা কমেছে। দেশের অর্থ দেশে রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে। অর এটি ধরে রাখার জন্য সরকারের সরকারকে দ্রুত কিছু উন্নয়ন কাজ করতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। সর্বোপরি অগামী মার্চ থেকে শুরু হওয়া রমজানের আগে সবার কাছে টাকার প্রবাহ বাড়াতে হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ ইনকিলাবকে বলেন, নিজেদের দিকে তাকানোর এখনই সময়, আমাদের অবস্থান জানান দেওয়ার এখনই সুযোগ। আইএমএফ’র চাপ নয়; ভালো-মন্দ্ব আমাদেরই ঠিক করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে সকল প্রতিষ্ঠান চালু রেখে সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে করে ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী ভাবমর্যদাকে কাজে লাগিয়ে স্বনির্ভর হতে হবে।