বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিবন্ধন বিধিমালায় পরিবর্তন আসছে। বিধিমালায় কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতায় আমূল পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিষয়ের মিল থাকলেই যে কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা। আসন্ন ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন থেকে এটি কার্যকর করা হবে।
সোমবার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় জেনারেলের নিবন্ধনধারীরা মাদ্রাসা কিংবা কারিগরি প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেন না। এ অবস্থায় কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিধিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন করতে পারলে অনেক প্রার্থী সুপারিশ পাবেন।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিবন্ধনের কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতার মিল না থাকায় ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে অন্তত পাঁচ হাজার শিক্ষককে নিয়োগ সুপারিশ করা যায়নি। আসন্ন ১৯তম নিবন্ধনে এই বিষয়টি যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য বিধিমালা পরিবর্তন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে রেজ্যুলেশন হয়েছে। আমরা সব কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে ৪০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। কারিগরি, মাদ্রাসা এবং স্কুল-কলেজে নিয়োগের যোগ্যতা ভিন্ন। যোগ্যতা যেন একই থাকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বিধিমালায় মৌখিক পরীক্ষার নম্বর যেন যুক্ত করা হয় সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
জানা গেছে, ৪০টি বিষয়ে তিনটি অধিদপ্তরের ভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকায় সুপারিশে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। অনেক প্রার্থী সুপারিশ বঞ্চিত হয়েছিলেন। তাই দীর্ঘদিন ধরে নিবন্ধিত প্রার্থীরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন তিন অধিদপ্তরের শিক্ষাগত যোগ্যতা এক হোক।
সম্মানী বাড়ানোর পরিকল্পনা প্রশ্নকারকদের
১৯তম নিবন্ধন থেকে পরীক্ষার প্রশ্নকারকদের সম্মানী বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যেহেতু এবার এমসিকিউ পরীক্ষা ২০০ নম্বরের হবে, সেহেতু এবার পরীক্ষকদের সম্মানী বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, আগে একেকজন প্রশ্নকারক ১০-২৫টি প্রশ্ন করতেন। সেজন্য তারা এক রকম সম্মানী পেতেন। তবে যেহেতু ১৯তম নিবন্ধন থেকে তাদের প্রশ্নের সংখ্যা বাড়বে, সেহেতু সম্মানীও বৃদ্ধি পাবে।