গাজীপুরের পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম মুরাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বিতর্কিক মন্তব্য করায় পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) জাহিদুল হাসান বলেন, অভিযোগটি তদন্তের জন্য এক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারকে (এডিসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, সম্প্রতি যমুনা টেলিভিশনের ফেসবুক পেজে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্যসহ একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়। সেখানে লেখা ছিল— ‘সনদ স্বাক্ষরের দিনেও জুলাই যোদ্ধাদের আবার আন্দোৃলনে নামতে হয়েছে, এটা লজ্জাজনক।’ ওই পোস্টের নিচে পুবাইল থানার ওসি আমিরুল ইসলাম মুরাদ মন্তব্য করেন— ‘আগে গণভোট দরকার যে স্বাধীনতাবিরোধীরা এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে কি না।’
এ মন্তব্যের পর ২০ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর মহানগরের পক্ষ থেকে পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওসি আমিরুল ইসলাম মুরাদ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন এবং জামায়াত ও এর নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে বিতর্কিত মন্তব্য করে আসছেন। এতে পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
গাজীপুর নগর জামায়াতের মজলিশে শুরার সদস্য অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেন খান অভিযোগে উল্লেখ করেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ওসির এ ধরনের মন্তব্য করা বিধিবহির্ভূত। তিনি বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
পুবাইল থানা জামায়াতের আমির আশরাফ আলী কাজল বলেন, একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা হয়ে তিনি রাজনৈতিক মন্তব্য করতে পারেন না। তাই আমরা কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে ওসি আমিরুল ইসলাম মুরাদ বলেন, আমি আমার ফেসবুক আইডি থেকে ওই মন্তব্য করিনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, প্রমাণিত হলে, আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গেলে আমি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। এটি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না।