Image description

বাংলাদেশে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস স্থাপন এবং শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। একইসঙ্গে দেশটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০০ নতুন বৃত্তি প্রদানের প্রস্তাবও দিয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ–পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) নবম বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পাকিস্তানের পক্ষে দেশটির অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী আহাদ খান চীমা নেতৃত্ব দেন।

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, জুলাই বিপ্লবের পর দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান শিক্ষা, প্রযুক্তি ও শিল্প খাতে একাধিক সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাবে প্রাথমিক সম্মতি জানিয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া পাকিস্তান ব্যাংকনোট, প্রাইজবন্ড ও নিরাপত্তা সামগ্রী মুদ্রণে ব্যবহৃত বিশেষ কালি সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডারে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা জানিয়েছে।

বর্তমানে এসব কালি ও কাগজ ইউরোপ ও এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে আমদানি করা হয়।

শুধু শিক্ষা নয়—স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, গবাদিপশু উন্নয়ন, আইসিটি ও সমুদ্রবাণিজ্য খাতেও সহযোগিতা বাড়াতে চায় পাকিস্তান।

বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা মডেল অনুসরণ এবং যৌথভাবে ভ্যাকসিন উন্নয়ন ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে দুই দেশ সম্মত হয়েছে।

পাকিস্তান বাংলাদেশের চিনিশিল্পে কারিগরি সহায়তা ও উন্নত জাতের গরুর বীর্জ রপ্তানির প্রস্তাবও দিয়েছে।

আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ করাচি বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।

এছাড়া পাকিস্তান হালাল অথরিটি (পিএইচএ) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর মধ্যেও সহযোগিতা চুক্তি সইয়ের আলোচনা চলছে।

ইআরডি মনে করছে, এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে।