রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীর চরে কাঁকন বাহিনীর সশস্ত্র মহড়া ও এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হয়েছেন দুজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
রাজশাহীর বাঘা, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ও নাটোরের লালপুর সীমান্তের ১৪ হাজার মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন– মিনহাজ মণ্ডলের ছেলে আমান মণ্ডল (৩৬) ও শুকুর মণ্ডলের ছেলে নাজমুল মণ্ডল (২৬)। আহত হয়েছেন চান মণ্ডলের ছেলে মুনতাজ মণ্ডল ও আশরাফ মণ্ডলের রাবিক হোসেন (১৮)। তারা সবাই বাঘার উনীচ খানপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সোমবার সকাল ১১টায় সীমান্তের ১৪ হাজার মাঠ এলাকায় জমি দখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালায় কাঁকন বাহিনীর লোকজন। তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাঘার লক্ষ্মীপুর এলাকার গোবিচরে প্রবেশ করে। এ সময় মাঠে খড় কাটছিলেন কৃষকরা। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হন আমান মণ্ডল, মুনতাজ মণ্ডল, নাজমুল মণ্ডল ও রাবিক হোসেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে আমান মণ্ডল মারা যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী নেওয়ার পথে নাজমুল মণ্ডল মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নীহার চন্দ্র মণ্ডল জানান, মুনতাজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ও রাবিকের শরীরে ৮০টির মতো রাবার বুলেট পাওয়া গেছে। নাজমুল ও আমানের মাথাসহ শরীরের অন্তত পাঁচ জায়গায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী উনীচ খানপুর গ্রামের বেলাল হোসেন জানান, তারা লোকজন নিয়ে চরে খড় কাটছিলেন। এ সময় কাঁকন বাহিনীর লোকজন এসে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। তারা খড় কাটা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ততক্ষণে সন্ত্রাসীদের গুলিতে চারজন গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছে।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুপ্রভাত মণ্ডল জানান, হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার (আজ) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, আগেও কাঁকন বাহিনীর লোকজন বালুঘাটের দখল নিয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে এসে বাঘা-লালপুর সীমান্তে তাণ্ডব চালায়। গত ৬ জুলাই গভীর রাতে তাদের ছোড়া গুলিতে স্পিডবোটের একজন চালক আহত হয়েছেন।