ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যেন আতঙ্কের জনপদ। রাত গভীর হলেই বাড়তে থাকে চুরি-ডাকাতি ছিনতাইসহ নানান অপরাধ কর্মকাণ্ড। বৃহস্পতিবার রাতে এমনই একটি অপরাধের চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ভিডিওটিতে দেখা যায়- সিএনজির পেছনের ক্যারিয়ারে দাঁড়িয়ে আছে এক যুবক। সিএনজির ভেতরে দরজা খুলে দাঁড়িয়ে আছে আরেক যুবক। দুই যুবকের মধ্যে কিছুটা ধস্তাধস্তি হচ্ছে। তবে দুজনের হাতেই ছিল দেশীয় অস্ত্র চাকু। এটি কী আসলেই ছিনতাই নাকি অন্যকিছু সেটি এখনো পরিষ্কার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। আসলে এটি ছিনতাই না অন্যকিছু।
বৃহস্পতিবার রাত ১টায় এমনই একটি ছিনতাইয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মহাসড়কের গাড়িচালক আরমান হোসেন, বাবুল মিয়াসহ কয়েকজন জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে মহাসড়কে পুলিশকে তেমন ডিউটি করতে দেখা যায় না। বিশেষ করে কাঁচপুর থেকে মেঘনা সেতুর আগপর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্পটে নিয়মিত চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পুলিশের তৎপরতা কম থাকার কারণে অপরাধীরা অপরাধ সংঘটিত করে দ্রুত সটকে পড়ে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, নাসির উদ্দিন সাহা নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি আপ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন- কক্সবাজার যাওয়ার পথে মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় প্রকাশ্যে ছিনতাইয়ের ঘটনা চোখে পড়লে মোবাইল ফোনে ধারণ করে সেটি তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেন; যা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে মদনপুর এলাকা অতিক্রম করলে ছিনতাইয়ের কবলে পড়া সিএনজিটিও আর দেখতে পাননি। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ হয়নি সংশ্লিষ্ট থানায়।
তবে পুলিশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ঘটনার আদ্যোপান্ত- এমনটাই জানিয়েছেন কাঁচপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ ওয়াহিদ মোর্শেদ।
বন্দর থানার ওসি লিয়াকত হোসেন জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোন জায়গাটিতে এ ঘটনা ঘটেছে তা স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না। তবে মদনপুর থেকে লাঙ্গলবন্দ এলাকার মাঝামাঝি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও ভিডিওতে সিএনজিতে থাকা ভেতরে ও বাহিরে দুজনের হাতের চাকু দেখা যাচ্ছে। আসলেই কি তারা ছিনতাইকারী না দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব বা অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে। ভিডিওতে সিএনজির নাম্বারটিও স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ বিষয়টি চিহ্নিত করার জন্য একাধিক টিম কাজ করছে।
তিনি জানান, ভুক্তভোগী কেউ এখন পর্যন্ত থানা বা হাইওয়ে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি।