Image description
 

টানা দু'দিন দাম কমার পর বৃহস্পতিবার বিশ্ববাজারে সোনার দাম ১ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য সোনার চাহিদা বেড়েছে। এছাড়াও, বিনিয়োগকারীরা শুক্রবার প্রকাশিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছেন।

 

নিউইয়র্ক সময় সকাল ৯টা ২১ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম ১.২ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৪,০৪৩.৮০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগের সেশনে সোনার দাম প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গিয়েছিল।

ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য ইউএস গোল্ড ফিউচার্সের দাম ২.৩ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৪,১৬০.৫০ ডলারে পৌঁছেছে।

 

উল্লেখ্য, গত সোমবার সোনার দাম প্রতি আউন্সে ৪,৩৮১.২১ ডলারে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছালেও পরের দিনই এটি গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতনের সম্মুখীন হয়।

 

বিশ্লেষকদের মতে, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা এবং বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনার ধারাবাহিক প্রবণতা—এই সমস্ত কারণ মিলিয়ে চলতি বছরে সোনার দাম প্রায় ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। কম সুদের হারের পরিবেশে সোনার মতো অ-উৎপাদনশীল সম্পদ সাধারণত বেশি লাভবান হয়।

এদিকে, জেপি মরগান পূর্বাভাস দিয়েছে যে বিনিয়োগকারীদের চাহিদা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রয় অব্যাহত থাকলে ২০২৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিক নাগাদ সোনার দাম প্রতি আউন্সে গড়ে ৫,০৫৫ ডলারে পৌঁছাতে পারে।

অন্যান্য মূল্যবান ধাতুগুলোর মধ্যে স্পট সিলভারের দাম ১.৬ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৪৯.২৯ ডলার এবং প্ল্যাটিনামের দাম ১.২ শতাংশ বেড়ে ১,৬৪০.৬১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, প্যালাডিয়ামের দাম ০.১ শতাংশ কমে ১,৪৫৭.০৮ ডলারে নেমে এসেছে।