ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে বিতর্কিত স্লোগানের জেরে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. জাবির আহমেদ জুবেল।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল ৫টা ১৮ মিনিটে ফেসবুকে একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে এই দাবি জানান। ভিডিও ক্লিপ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা স্লোগানের এক পর্যায়ে বলছে, ‘একটা একটা ইসকন ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর।’
জাবির তার পোস্টে লিখেন, একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রকাশ্য মিছিল-সমাবেশে কোনো একটা নির্দিষ্ট গ্রুপের মানুষকে জবাই করার আহ্বান জানানো ভয়ংকর ব্যাপার। সরকারের এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত হত্যায় প্রণোদনা জোগানো এই সকল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এ বিষয়ে স্লোগানকারী একজন শিক্ষার্থী বলেন, স্লোগানে দুইটা পার্ট ছিল। প্রথমটা একজন বলতো, বাকিটা সবাই মিলাতো। আমাদের স্লোগানটা ছিল, ‘একটা একটা ইসকন ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর।’ তবে সেখানে থাকা গুটিকয়েকজন স্লোগান সম্পর্কে ধারণা না থাকায় হয়তো এই বিতর্কিত স্লোগানটি দিয়েছে।
এছাড়াও বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘একটা একটা ইসকন ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’, ‘ইসকন ধর, ইসকন ধর, জেলে ভর জেলে ভর’, ‘ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী’, ‘ইসকনের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ইসলামের শত্রুরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ইসকনের আস্তানা’, ‘ইসকন নিষিদ্ধ, করতে হবে করতে হবে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)-এর বিরুদ্ধে কথা বলার পর গাজীপুরের টঙ্গীর বিটিসিএল টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মো. মুহিবুল্লাহ মিয়াজীকে শিকলবাঁধা অবস্থায় পঞ্চগড়ের সিতাগ্রাম হেলিপ্যাড এলাকায় উদ্ধার করা হয়। এর পরই অভিযোগের তীর যায় ইসকনের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী ইসকন নিষিদ্ধের দাবি ওঠে।