Image description

ডিএমপি ত্রিভুজ প্রেমের গল্প সাজিয়ে জোবায়েদের চরিত্র হরণের চেষ্টা করছে। জোবায়েদ এমন ছেলে নয়। এভাবে তদন্তকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা চাই, প্রকৃত খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক, নিরপরাধ কেউ যেন শাস্তি না পায় বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন।গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জোবায়েদ নির্মম খুনের শিকার হয়েছে। আমরা ২১ তারিখ   সকাল ১০টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।
ড. মো. রইছ উদ্দীন প্রশ্ন তোলেন, মামলায় যে এজাহার দায়ের করা হয়েছে, সেখানে ইন্ধনদাতা বর্ষার একটি বক্তব্য রয়েছে। সে জোবায়েদের লোকেশন ট্র্যাক করেছে এবং রুমমেটকে জানিয়েছে। এটা প্রথম সূত্র হওয়ার কথা, কিন্তু কেন এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি?
তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে কালো ও লাল টি-শার্ট পরিহিত দুইজনকে দেখা গেছে।

তারা কি সেই দুইজন আসামি? হলে তাদের পোশাক জব্দ করা হয়েছে কি না, সেটিও প্রশ্ন। মাত্র একবার ছুরিকাঘাতে জোবায়েদ নিহত হয়েছে। মাহিরের মতো খাটো উচ্চতার কেউ কীভাবে  জোবায়েদের উচ্চতার ছেলেকে হত্যা করতে পারে? নাকি প্রফেশনাল কিলার ভাড়া করা হয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর আমরা জানতে চাই। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, পুলিশ বাদীর ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। তবে যদি এমন কিছু ঘটে, আমরা তা প্রকাশ করবো।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, আমরা শোকে বিহ্বল। আমাদের স্বাভাবিক জীবনের গতি থেমে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের জন্য যে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল, সেই মঞ্চেই জোবায়েদের শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২৭শে অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস  জোবায়েদের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করা হবে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনজন আসামিকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মাত্র তিনদিনের মাথায় মামলায় এমন অগ্রগতি প্রশংসনীয়। তবে আমরা চাই, যাতে আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ পার না পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা একজন আইনজীবী নিয়োগ দেবো, যিনি  জোবায়েদের মামলাটি তদারকি করবেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর,  জোবায়েদ হত্যা মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী, বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।