
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বুয়েট কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে ডিএমপির চকবাজার থানায় এই মামলা করে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকবাজার থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসান।
আজ বুধবার সকালে এসআই হাসান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বুয়েটে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুয়েট কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে এই মামলা করেছে। গতকাল রাতেই আটক থাকা ওই শিক্ষার্থীকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করার দাবিতে বুয়েট কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন ডিএসডব্লিউ ভবনের (ছাত্রকল্যাণ পরিদফতর) সামনে জড়ো হন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ষকের ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না’, ‘ধর্ষকদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, ধর্ষকের বিচার চাই’সহ নানা স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘নানা প্রমাণ ও মিলের ভিত্তিতে আমরা দৃঢ়ভাবে সন্দেহ করছি যে, আমাদের ব্যাচের শ্রীশান্ত রায়ই ওই রেডডিট আইডির ব্যবহারকারী এবং সে-ই সচেতনভাবে নারীদের প্রতি অশালীন, লাঞ্ছনাকর ও হয়রানিমূলক আচরণ করেছে।’
তারা আরও বলেন, ‘যদি ওর কাছ থেকে আগেও কেউ এরকম কোনও আচরণের শিকার হয়ে থাকেন বা কোনও প্রমাণ থেকে থাকে, গোপনীয়তা বজায় রেখে হলেও সেটা যেন প্রকাশ্যে আনেন।’
পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে শ্রীশান্ত রায়কে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ জারি করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের ‘২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায় (আইডি: ২১০৬১৬৯)-এর ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল করা হলো।’ পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়।