
বরগুনার তালতলীতে এক গৃহবধূকে ‘ধর্ম মেয়ে’ বানিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্য খলিল হাওলাদারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ঘটনাটি প্রকাশের পর গৃহবধূ, তার স্বামী ও শাশুড়িকে মারধরের অভিযোগও এসেছে খলিল হাওলাদারের অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে মারধর করেন। এ ঘটনার পর গৃহবধূ ও তার স্বামী থানায় মামলা করতে যান। এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, উপজেলা নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য খলিল হাওলাদার এক গৃহবধূর নাম তার মেয়ের নামে থাকার সুযোগ নিয়ে তাকে ‘ধর্ম মেয়ে’ হিসেবে আত্মীয়তা দেখান। এরপরে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ম মেয়ে হিসেবে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং গৃহবধূর বিশ্বাস অর্জন করেন। সেই সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে যখন গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না, তখন খলিল হাওলাদার গৃহবধূর বাড়িতে প্রবেশ করেন তিনি জোরপূর্বক কাপড়চোপড় ছিঁড়ে ফেলেন এবং গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। চিৎকার করলে তার শাশুড়ি এসে পড়েন, তখন খলিল হাওলাদার পালিয়ে যান। পরে পরিবার বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান, কিন্তু কেউ কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ‘মীমাংসা’ করার চেষ্টা হলেও অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় ন্যায়বিচার হয়নি। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানানোর পর, সাংবাদিকদের কাছে গৃহবধূর বক্তব্য দিলে স্বামী ও শাশুড়িকে মারধর করা হয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, “খলিল হাওলাদারের নির্দেশে তার অনুসারীরা ২০ অক্টোবর রাতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমরা গুরুতর আহত হই। ধর্ষণ ও মারধরের বিচারের দাবিতে থানায় মামলা করতে যাচ্ছি।”
নলবুনিয়া গ্রামের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “খলিল মেম্বার আগে থেকেই এলাকায় প্রভাবশালী। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না। এই ঘটনাও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
এবিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য খলিল হাওলাদার বলেন আমার বিষয়গুলো ষড়যন্ত্র করতেছে । আমি এরকম কোন কাজ করিনি।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, “ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করতে থানায় এসেছেন। অভিযোগ নিয়ে তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”