
গহনা শুধু অলংকার নয়, এটি এক ধরনের বিনিয়োগও। তাই কিনতে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় যাচাই না করলে ঠকবার আশঙ্কা থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দোকানে কেনাকাটার সময় অন্তত সাতটি প্রশ্ন করা জরুরি—
১. এই গহনার হালমার্ক বা সার্টিফিকেট কোথায়?
বিক্রেতার কাছে জানতে চান, গহনাটি কোন ল্যাব বা সংস্থার হালমার্ক বা সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত। অনুমোদিত সংস্থা যেমন বিএসটি, আইএসও বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান হলে তবেই নিশ্চিত হবেন এটি আসল সোনা।
২. ওজন কত এবং এটি খালি সোনা না পাথরসহ মিশ্রিত?
অনেক সময় গহনার সঙ্গে পাথর বা অন্য ধাতু যুক্ত থাকে। তাই মোট ওজন নয়, সোনার নিট ওজন কত তা জেনে নিন।
৩. মেকিং চার্জ কিভাবে হিসেব করা হচ্ছে — গ্রাম না শতাংশ ভিত্তিতে?
কেউ গ্রাম অনুযায়ী, কেউ আবার শতাংশ ধরে মেকিং চার্জ নেয়। আগে থেকেই এই হিসাব জেনে রাখলে পরে বাড়তি চার্জ দিতে হবে না।
৪. রিটার্ন, রিফান্ড ও সার্ভিস কন্ডিশন কী?
দোকানের ফেরত নীতি লিখিতভাবে জেনে রাখুন। কোনো ত্রুটি বা অসন্তুষ্টির ক্ষেত্রে কীভাবে রিফান্ড বা রিপেয়ার হবে, তা স্পষ্ট থাকা দরকার।
৫. ভবিষ্যতে বিক্রি করলে নীতি কী?
যদি পরে গহনাটি বিক্রি করতে চান, দোকানের বায়ব্যাক বা এক্সচেঞ্জ নীতি কী—সে ব্যাপারে আগেভাগে জানুন।
৬. এই টুকরোটি প্লেটেড না ফাঁপা — কীভাবে যাচাই করব?
অনেক সময় সোনার গয়না শুধু প্লেটেড বা ফাঁপা হয়। তাই কীভাবে সত্যতা যাচাই করা যাবে, দোকানিকে সেটা জিজ্ঞেস করুন এবং প্রমাণ চান।
৭. বিক্রয়ের পর যে কাগজপত্র দেবেন, তাতে কী কী থাকবে?
বিল, সার্টিফিকেট, হালমার্ক নম্বর এবং বিক্রেতার সিলযুক্ত রসিদ — সবকিছুই নিতে হবে। এগুলো ছাড়া পরবর্তীতে গহনা বিক্রি বা দাবি তোলার সুযোগ থাকবে না।