
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের পরিসংখ্যান অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। বিশ্ব ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আয়োজিত এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সন্মেলন কেন্দ্রে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, তিন কারণে ধুঁকছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। কারণগুলো হলো- কর্মকর্তাদের জন্য আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার গঠনের সম্ভাবনার অভাব, মানসম্পদের ঘাটতি বা দক্ষ মানব সম্পদের অভাব এবং জরিপ ও শুমারি পরিচালনার জন্য স্থায়ী বাজেট বা অর্থায়নের অভাব। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে কাজ করেছে একটি টাস্কফোর্স।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
সেমিনারে অন্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দায়ারেন্তি। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিবিএসের পরিচালক কবির উদ্দিন আহাম্মদ। প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যন ড. মো. জাফর আহমেদ খান এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সমিতির সভাপতি ড. সৈয়দ সাহাদৎ হোসেন।
বক্তারা বলেন, সঠিক পরিকল্পনার জন্য সঠিক তথ্যের বিকল্প নেই। তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করা বিবিএসের দায়িত্ব।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বাসযোগ্য সরকারি ডাটা উৎপাদন করতে হবে। এক্ষেত্রে যে পরিমাণ টাকা খরচ হবে সেটিকে অন্যতম বিনিয়োগ বলা যায়। কেননা বিবিএসের ডাটা নিছক কোনো পরিসংখ্যান নয়, এর মাধ্যমে সরকার নীতি নির্ধারণ করে, বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং গবেষকসহ সব শ্রেণীর মানুষ সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কাজ করতে পারবে। এজন্য পরিসংখ্যানের স্বচ্ছতা না থাকলে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।
তিনি আরও বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পরিমাপক হিসেবে জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। কেননা এতে দেশের প্রকৃত চিত্র মাপা যায় না।