Image description

পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় একটি ভবনে খুন হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ রহমান। তিনি ওই বাসার ৫ম তলায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন। এ ঘটনার পর বাসার বাহিরে অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, দিচ্ছেন নানা স্লোগান। 

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী, কোতোয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুল হক ও বংশার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ওই ভবনের ৫ম তলায় থাকা ছাত্রীর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে আজ রবিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে আরমানিটোলার নূরবক্স লেনে অবস্থিত একটি আবাসিক ভবনে খুন হন জুবায়েদ রহমান। পরে স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। নিহত শিক্ষার্থী জুবায়েদ রহমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৫তম ব্যাচের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি জবিস্থ কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি। 

ঘটনার পর আরমানিটোলায় অবস্থিত ওই বাসাটিকে ঘিরে রেখেছে জবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, যে ভবনে তিনি টিউশনি করাতেন সেই বাসার ৩য় তলার সিড়িঁতে তার লাশ পড়ে ছিল। নিচ তলা থেকে তিন তলা পর্যন্ত সিঁড়িতে রক্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। ওই বাসারই ৫ম তলায় জুবায়েদ রহমান একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন। ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি ও হায়ার ম্যাথ পড়াতেন জুবায়েদ।

ওই ছাত্রীর বরাত দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্র আরও জানান, পড়াতে আসার আগ মূহুর্তে ওই ছাত্রী জুবায়েদ রহমানকে ফোন করে বলেন, আজ পড়াতে আসবেন কিনা। এ সময় তিনি (জুবায়েদ) বলেন, নূর বক্স লেনে প্রবেশ করেছেন এবং ওই ছাত্রী লোকেশন চেক করে দেখেন জুবায়েদ ওই লেনে প্রবেশ করেছেন।