
ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার পর সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিকাল ৩টার পর ছাড়েনি বিমানের কোনও ফ্লাইট। তবে এই সময়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি এবং ইউএস বাংলার দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর রাত ৯টা ২২ মিনিটে এ বিমানবন্দর থেকে আবার বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়। রাত প্রায় ২টার দিকে এয়ার এস্ট্রার একটি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাত ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটের একটি ফ্লাইটের যাত্রীরা বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ রয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, রাত ৯টা ২২ মিনিটে প্রথম নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশ্যে সিলেট বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
সিঙ্গাপুর থেকে জরুরি অবতরণ করা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি ১০টা ১ মিনিটে ও ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় রিয়াদ থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি। এছাড়া, মালদ্বীপ থেকে ইউএস বাংলার ওপর ফ্লাইট রাত সাড়ে ১০টা ৪০ মিনিটে ওসমানী বিমানবন্দর ছাড়ে।
একে একে ঢাকার উদ্দেশ্যে উড়াল দেয় আভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটগুলো। সিলেট এয়ারলাইন্স ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ বেলায়েত হোসেন লিমন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, রাত ১১টা ১৭ মিনিটে অভ্যন্তরীণ রুটে ইউএস বাংলার সর্বশেষ ফ্লাইট ওসমানী বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। মালদ্বীপ ও সিঙ্গাপুর থেকে আসা ইউএস বাংলার যাত্রীদের তারা খাবার পরিবেশন করান।
সূত্র জানায়, বিকাল ৩টা ৩১ মিনিটে রিয়াদ থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিজি-৩৪০ ফ্লাইটটি ৩৯৬ জন যাত্রী নিয়ে সিলেটে অবতরণ করে। এছাড়া সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকাগামী ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট ১৫৩ যাত্রী নিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।
এদিকে রিয়াদ থেকে আসা ফ্লাইটের ১২ জনের গন্তব্য সিলেট হওয়ায় তাদের বোর্ডিং পাস দেওয়া হয়। আর সিলেট থেকে তিনটি ডোমেস্টিক ফ্লাইট দেরি হওয়ায় বিপাকে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। পরে সন্ধ্যায় এই বিমানবন্দরে অবতরণ করে মালদ্বীপ থেকে ঢাকাগামী ইউএস বাংলার আরও একটি ফ্লাইট। তবে, রাতে সবগুলো ফ্লাইটই বিমানবন্দর ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছে বিমান সূত্র।
এয়ার এস্ট্রার যাত্রী এনবিআর-এর কর গোয়েন্দা সেলের প্রধান আব্দুর রকিব বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তাদের বহনকারী বিমান শনিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে সিলেট থেকে ঢাকায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার কারণে ঢাকা থেকে এয়ার এস্ট্রার ফ্লাইটটি টেইক অফ করে রাত ১টায়। এরপর রাত পৌনে ২টায় তাদের বিমানে তোলা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বিমানটি ছাড়বে বলে জানান তিনি।
এর আগে তারা দীর্ঘক্ষণ বিমানের জন্য অপেক্ষমাণ ছিলেন বলে জানান এ কর কর্মকর্তা।