
টানা ৪৮ ঘণ্টা আগুনে জ্বলার পর চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) ‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’র সেই ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ অঞ্চলের উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, পুরো ভবনটি এখন মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। আশেপাশে কাউকে অবস্থান না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এরআগে, বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে ইপিজেডের ৫ নম্বর সড়কে ওই ভবনের অষ্টম তলার গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর বিশেষায়িত টিমসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিটের টানা প্রচেষ্টার পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে দুই দিন।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম বলেন, ভবনে থাকা মেডিকেল গাউন, ক্যাপ ও নানা ধরনের কেমিকেল আগুনের ভয়াবহতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। আগুনের রং নীলচে হয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আমরা আগুনকে এক ভবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে পেরেছি, এটিই বড় সাফল্য।
উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, অনেকে জানতে চেয়েছেন কেন কেমিকেল বা ফোম ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু ভবনে মিশ্র দাহ্য পদার্থ থাকায় তা ব্যবহার করলে আগুন আরও বেড়ে যেত। হেলিকপ্টার ব্যবহারও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল কারণ বাতাসের চাপ আগুন ছড়িয়ে দিতে পারত।
ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুস সোবহান বলেন, বেপজার সব প্রতিষ্ঠানই নিয়ম মেনে পরিচালিত হয়। তারপরও যদি কোথাও গাফিলতি বা ত্রুটি থেকে থাকে তা যাচাইয়ে তদন্ত চলছে।
বিজিএমইএর পরিচালক এম. ডি. এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইপিজেডের মতো একটি সুরক্ষিত এলাকায় এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের মনে আতঙ্ক তৈরি করবে। হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।