Image description
 

এক কর্মচারী সরকারি অফিসের সামনে আত্মহত্যা করেছেন। রেখে যাওয়া সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, বারবার বকেয়া বেতন পরিশোধের অনুরোধ করার পরেও কর্মকর্তারা তার আবেদনে সাড়া দেননি।

 

শনিবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের কর্ণাটকের চামরাজনগর জেলার একটি পঞ্চায়েত অফিসের সামনে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করে মারা গেছেন।

তিনি গত ২৭ মাস ধরে বেতন না দেয়া এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের দ্বারা মানসিক হয়রানির অভিযোগ করেছেন। ২০১৬ সাল থেকে হোঙ্গানুরু গ্রাম পঞ্চায়েতে তিনি কর্মরত ছিলেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন চিকুসা নায়কা নামের ওই ব্যক্তি।

 

সুইসাইড নোটে তিনি লেখেন, ‘আমি ২০১৬ সাল থেকে জলকর্মী হিসেবে কাজ করছি। আমি পঞ্চায়েত উন্নয়ন কর্মকর্তা (পিডিও) এবং গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতিকে আমার ২৭ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তারা আমাকে উপেক্ষা করেছেন। আমি জেলা পঞ্চায়েতের সিইওর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি, কিন্তু কিছুই হয়নি।’

 

নোটটিতে আরও অভিযোগ করা হয়, পিডিও, রমে গৌড়া এবং গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতির স্বামী মোহন কুমারের মাধ্যমে তিনি ক্রমাগত মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

চিকুসা নায়কা আরও উল্লেখ করেন, ‘যদি আমি ছুটি চাইতাম, তাহলে তারা আমাকে ছুটি নেয়ার আগে অন্য একজন খুঁজে বের করতে বলত। তারা আমাকে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অফিসে থাকতে বাধ্য করত। পিডিও এবং মোহন কুমারের হয়রানির কারণে আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে।’

কর্তৃপক্ষকে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে নোটটিতে। এই ঘটনার পর পিডিও, গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে এসসি/এসটি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের অধীনে মামলা দায়ের করেছে ভারতীয় পুলিশ।

এই আত্মহত্যার ঘটনার পর জেলা পঞ্চায়েতের সিইও রমে গৌড়াকে অবহেলা এবং চাকরির নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে বরখাস্তও করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাজ্যের কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার প্রতি নিন্দা জানিয়েছে বিজেপি।