
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। এ আগে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। পরে এ ভোটগণনা শুরু হয়েছে সন্ধ্যা ৬টা থেকে।
বিকেল ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে কেন্দ্রীয়ভাবে ১৭টি কেন্দ্রের ফলাফল গণনা শুরুর কথা থাকলেও ভোট গণনার বিষয়ে অধ্যাপক পারভেজ আজহারুল হক বলেন, ৫টায় ভোট গণনা শুরুর কথা থাকলেও ৬টায় ভোটগণনা শুরু হয়।
এদিকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে এখনো যারা ভোট দেননি, তাদের লাইনে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। এরপর কেন্দ্রের গেট বন্ধ করে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে ভোট গণনার কাজ শুরু হয়।
ভোট গণনা শেষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন থেকে ফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ।
তিনি বলেছেন, নয়টি ভবনে ভোট গ্রহণ শেষে সব ব্যালট বাক্স নেওয়া হবে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। ভোট গণনার সুবিধার্থে ১০০টি করে ব্যালট দিয়ে পৃথক বান্ডেল করা হবে। এ বান্ডেলের ভোট গোনা হবে ওএমআর মেশিনে যা পর্যবেক্ষণ করবে বিশেষজ্ঞ প্যানেল। সব মিলিয়ে তিন ধাপে চূড়ান্ত ফল তৈরি হবে। একটি হলের ফল তৈরি শেষে আরেকটির গণনা শুরু হবে। তাতে ২৮৩টি পদের ফল জানাতে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে।
এর আগে সকাল সোয়া ৭টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি সরঞ্জামাদি বিতরণ শুরু হয়। এ সময় প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে হালনাগাদ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ওএমআরযুক্ত ব্যালট পেপার, অমোচনীয় কালি-সহ অন্যান্য নির্বাচনি সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এবারের রাকসু নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ৯টি অ্যাকাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি ভোটকেন্দ্রে। কেন্দ্রীয় রাকসুর ২৩টি পদে মোট ৩০৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রয়েছে সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ। সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধির পাঁচটি পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে ১৭টি হল সংসদের ২৫৫টি পদে মোট ৫৫৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।