
পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার কেমিক্যালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭১ জন নিহত হন। এই ট্র্যাজেডির প্রায় সাড়ে ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও মৃত্যুপুরী সেই এলাকা এখনো নিরাপদ নয় বলে সতর্ক করে আসছিল বিস্ফোরণ বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া আজ থেকে ১৬ বছর আগে ভয়াবহ নিমতলী ট্র্যাজেডির ঘটনায় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ১২৪ জনের। আহত হন অনেকে। তখনো কেউ সতর্ক হননি।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরের গার্মেন্টস কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৬ জন মারা গেলেন। হতাহত হয়েছেন অনেকে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
অগ্নিকাণ্ডের ৯ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, র্যাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।
কেমিক্যাল গোডাউন ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা এখন বোমার শহর। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাদের আশঙ্কা, সতর্ক না হলে ঢাকার অলিগলিতে নীরবে আবার জেগে উঠতে পারে এমন মৃত্যুপুরী।
অবশ্য বিস্ফোরণ বিশেষজ্ঞ ও অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিগত সরকারের আমলে পুরান ঢাকা, মিরপুর ও উত্তরাসহ বেশ কিছু এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল গোডাউন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সেই অভিযান বর্তমানে দেখা যায়নি। কাজেই মিরপুর তো ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল গোডাউনের তালিকায় ছিল। সরকারের উচিত ছিল আগে থেকে সতর্ক থাকার। তাহলে হয়তো নতুন করে এ ট্রাজেডি দেখতে হতো না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক এক বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ জানান, ঢাকা শহর এখন এটম বোমার শহরের মতো। যেকোনো সময় পুড়ে ছাই হয়ে যায় মানুষ। যা অন্য দেশে নেই। এছাড়া কেমিক্যাল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেই চলছে, আমরা সতর্ক হচ্ছি না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌহিদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঢাকার মানুষ বসবাস করছে এক হিসেবে এটম বোমার সঙ্গে। এসব কেমিক্যাল সরানোর পদক্ষেপ বারবার ব্যর্থ হয় আর আমাদের বারবার শ্রমজীবী ও আপনজনদের হারাতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘মিরপুরের ঘটনা ও অনেককিছু বিশ্লেষক করলে দেখা যায়- ঢাকা এখন মৃত্যুপুরী। কিন্তু কবে টনক নড়বে কর্তৃপক্ষের? সাধারণ মানুষের এমন হাহাকার কি ঢাকার কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা দেখেন না।’
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ২৭,৬২৪টি বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনাগুলোতে ৭৯২ কোটি টাকার বেশি সম্পদের ক্ষতি হয় এবং ১০২ জন নিহত হন। ২০২৪ সালে সারাদেশে মোট ২৬,৬৫৯টি বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসব আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪০ জন, আহত হয়েছেন ৩৪১ জন। ২০২৫ সালের প্রথম ৭ মাসে ১৫৪ জন আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় মারা গেছেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পুরান ঢাকায় ২৫ হাজার কেমিক্যাল গোডাউন বা রাসায়নিক পণ্যের গুদাম রয়েছে। এসবের মধ্যে ১৫ হাজার আছে খোদ বাসাবাড়িতেই। তাছাড়া সারা ঢাকা শহরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থা ৪,৮৫০টিরও বেশি গোডাউনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যার মধ্যে মিরপুর ও উত্তরা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরান ঢাকাসহ পুরো ঢাকা শহরে প্রায় ৪ হাজার ব্যবসায়ী রাসায়নিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য মতে, কেমিক্যাল গোডাউন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করলেও দুর্ঘটনা এড়াতে হাতে নেওয়া হয়েছিল অনেক পদক্ষেপই। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি সেগুলো। এছাড়া সেসময় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরে। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলেও দীর্ঘমেয়াদিগুলোর বাস্তবায়ন নেই।
জানা গেছে, শুধু পুরান ঢাকায় ছোট-বড় সব মিলিয়ে ২৫ হাজার কেমিক্যাল গুদাম রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র আড়াই হাজার গুদামকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে সিটি করপোরেশন। বাকিগুলো অবৈধ। বিগত সরকারের সময়ে দুবারই সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে বলা হয়েছিল, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পুরান ঢাকা থেকে দাহ্য রাসায়নিকের ব্যবসা স্থানান্তর করা হবে। এখনো পুরান ঢাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এসব কেমিক্যাল গুদাম কোথাও সরেনি।
এছাড়া চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির পর কয়েক দফা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে পুরান ঢাকায়। দুর্ঘটনা হলেই রাসায়নিক কারখানা স্থানান্তরের বিষয়ে আলোচনা হয়, কয়েকদিন পর তা যথারীতি থেমে যায়।
২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল গোডাউন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। পরে এফবিসিসিআইয়ের অনুরোধে ডিএসসিসি উচ্ছেদ অভিযান সাময়িক স্থগিত করে। এরপর আর অভিযান শুরু হয়নি।
সম্প্রতি পুরান ঢাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, কেমিক্যালের দোকানগুলোতে সারি সারি প্লাস্টিকের ড্রাম আর দাহ্য রাসায়নিক পদার্থে ঠাসা। কোনো কোনোটিতে আবার বস্তাভর্তি দাহ্য কেমিক্যাল। তার ঠিক ওপরেই এলোমেলোভাবে ঝুলছে অসংখ্য বৈদ্যুতিক তার। দোকানের ওপরেই রয়েছে বাসাবাড়ি। পুরান ঢাকার আরমানিটোলা, লালবাগ, কোতোয়ালি, বংশাল, চকবাজারসহ বেশিরভাগ এলাকার কেমিক্যাল দোকানগুলোর এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
এছাড়া পুরান ঢাকার আবাসিক ভবনগুলোর নিচতলায় বেশিরভাগই বিভিন্ন কারখানা ও গোডাউন থাকে। এসব গোডাউনেই মজুত থাকে প্লাস্টিকের ড্রাম আর দাহ্য রাসায়নিক পদার্থে ভর্তি বস্তা। এসব গুদামে রয়েছে গ্লিসারিন, সোডিয়াম অ্যানহাইড্রোস, সোডিয়াম থায়োসালফেট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড, মিথাইল ইথাইল কাইটন, থিনার, আইসোপ্রোইলসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ আগুনের সংস্পর্শে এলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
২০১০ সালে নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডের পর দুর্ঘটনা রোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ইকবাল খান চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কেমিক্যাল গুদাম অপসারণসহ ১৭ দফা নির্দেশনা দেয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই সুপারিশমালা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ফাইলবন্দি। এর মধ্যেই ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে নিমতলীর ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে চকবাজারের চুড়িহাট্টায়। এসময়ও বেশ কিছু সুপারিশ করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি। এতে আগুনের জন্য ওয়াহেদ ম্যানশনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় গুদামজাত করা বিপুল পরিমাণ রাসায়নিককে দায়ী করা হয়।
চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো- অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে আবাসিক এলাকায় যেকোনো ধরনের রাসায়নিকের দোকান বা গুদাম স্থাপন করা যাবে না। পুরান ঢাকার সব রাস্তা ও গলিপথ বাধামুক্ত করে কমপক্ষে ২০ ফুট প্রশস্ত করতে হবে। এসব রাস্তায় স্ট্রিট হাইড্রেন্ট স্থাপন করে নির্দিষ্ট দূরত্বে পানির প্রবাহ নিশ্চিত রাখতে হবে। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের সেই সুপারিশের পুরোপুরি বাস্তবায়ন ঘটেনি আজও।
২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নারী ও শিশুসহ ১২৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর পুরান ঢাকার অবৈধ রাসায়নিক দ্রব্যের দোকান অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং ২০১৫ সালে কেরানীগঞ্জের সোনাকান্দায় ২০ একর জমিতে কেমিক্যাল পল্লি গঠনের কথা থাকলেও প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতির কারণে ওই জমি আইটি পার্ক করার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সিটি অ্যান্ড ফ্রেন্ড সোসাইটি রাসায়নিক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম ও চুড়িহাট্টার অ্যাসোসিয়েশন সংঘের নেতা নন্দকুমার দত্ত জাগো নিউজকে বলেন, চুড়িহাট্টার আগুনের পর আমাদের অনেক ব্যবসায়ী গুদামের দ্রব্য সরিয়ে নিয়েছেন। তবে এর মধ্যে ক্ষতিকর ৩০ থেকে ৪০ ধরনের কেমিক্যাল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তারা বলেন, তবে এখনো কিছু ক্ষতিকর কেমিক্যাল সরিয়ে নেওয়া হয়নি, যেটার কারণে হুমকি থেকে যায়। এসব ব্যাপারে আমরা নিজেরাই সর্তক হওয়ার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও কেমিক্যাল ব্যবসায়ী পলাশ আহমেদ জানান, পুরান ঢাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল দ্রুত সরানো দাবি জানাচ্ছি। আর না হয় মিরপুরের মতো ফের কোনো বড় ঘটনা ঘটুক সেটা দেশের মানুষ দেখতে চায় না। আমরাও চাই না।
এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের ধারণা, বর্তমানে কেমিক্যাল আমদানি নীতিমালাও পুরোপুরিভাবে সংস্কার করা হয়নি। দেশে ৯ ধরনের কেমিক্যাল আমদানি করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে মাত্র ৩ ধরনের বহন, ব্যবহার ও সংরক্ষণের জন্য নীতিমালা রয়েছে। বাকি ৬ ধরনের কোনো নীতির তোয়াক্কা না করেই ব্যবহার করা হয়। এই ৬ ধরনের কেমিক্যালের আড়ালে বিভিন্ন বিস্ফোরক ও নেশাজাতীয় কেমিক্যাল আমদানি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন জাগো নিউজকে বলেন, সারা ঢাকায় আমাদের গবেষণায় উঠে এসেছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার অবৈধ কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে। এগুলো না সরালে কিছুতেই বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কমানো সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ আশিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা কোনো ঘটনার পরও সতর্ক হই না। সতর্ক না হওয়ার কারণে আবারও বিস্ফোরণ বা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার শিকার হয়ে দিনের পর দিন আপনজনদের হারাচ্ছি। সবচেয়ে দুর্ভাগ্য আমাদের দেশে একটি ঘটনা ঘটার পরে মানুষ কিছুদিন সতর্ক থাকেন। পরে আর এসব ঘটনাকে কিছু মনে করেন না। আমরা নিমতলী, চুড়িহাট্টাসহ অনেক ঘটনা ভুলে গিয়েছি। মিরপুরের রাসায়নিক বিস্ফোরণের ঘটনাও সতর্ক না হয়ে ভুলে যাবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি বেশকিছু সুপারিশ জানায়। কিন্তু এসব কেউ আমলে নেয়নি। যাদি আমলে নিতো তাহলে এসব ঘটনা অনেকটাই কমে আসতো।
তিনি বলেন, আগে থেকে বলে এসেছি ও আমাদের সুপারিশ ছিল বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে আবাসিক এলাকায় যেকোনো ধরনের রাসায়নিকের দোকান বা গুদাম স্থাপন করা যাবে না। এসব সুপারিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পরিকল্পনাগুলো কেউ তেমন আমলে নেয় না। আজ যদি সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হতো বা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতো তাহলে কেমিক্যালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানুষকে মরতে হতো না। যেটা মিরপুরে ঘটছে।‘আমরা কেউ এসব বিষয়ে সতর্ক নই। বরং নিজের মতো সব কিছু গড়ি এবং আইন না মেনেই অনেকেই বছরের পর বছর চলছে। যার কারণে ঘটছে এসব বড় বড় দুর্ঘটনা’- যোগ করেন ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।