
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া, যিনি “রিপন ভিডিও” নামে পরিচিত, আবারও আলোচনায়। সহজ-সরল কথাবার্তা ও বাস্তবধর্মী কনটেন্টের কারণে তিনি যেমন দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, তেমনি সম্প্রতি ব্যক্তিজীবন নিয়ে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন নিউজের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে রিপনকে নিয়ে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিপনের মা অভিযোগ করেছেন, তার ছেলে এখন “গরিব বাবা-মায়ের পরিচয় দিতে লজ্জা পান।” তিনি জানান, রিপন নতুন পাকা ঘর তৈরি করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আলাদা থাকেন, কিন্তু বাবা-মায়ের খোঁজ রাখেন না বা ভরণপোষণ দেন না।
রিপনের মা বলেন, “ছেলেকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছি। এখন গরিব বলেই হয়তো আমাদের পরিচয় দিতে লজ্জা পায়। আল্লাহ যেভাবে রেখেছেন, সেভাবেই থাকুক। ও আরও বড় হোক—এই দোয়া করি।”
তিনি আরও জানান, রিপনের বিয়ে পারিবারিকভাবে হয়েছে, তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
তবে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে রিপনকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিয়ে বা সন্তান থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। রিপনের দাবি, “আমি বিয়ে করিনি। যাকে আমার স্ত্রী বলা হচ্ছে, তিনি আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী।”
অন্যদিকে রিপনের বাবা জানিয়েছেন, শুরুতে তিনি রিপনকে ভিডিও বানাতে সহায়তা করতেন, কিন্তু পরে ছেলে তাকে বাদ দিয়ে অন্যদের সঙ্গে কাজ শুরু করে। তিনি বলেন, “ও এখন নিজের মতো করে চলে। আগের মতো যোগাযোগ রাখে না। তাই আর ওর ভিডিও দেখি না।”
যদিও ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রিপন মিয়া।
এর আগে রিপন তার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, বলেন—“অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকরা তার বাড়িতে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের ভিডিও করেছেন।” রিপনের এই পোস্ট মুহূর্তেই ভাইরাল হয়, এবং নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।