Image description

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্থবিরতা বিরাজ করছে শিক্ষাঙ্গনে। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা দাবির প্রেক্ষিতে চলা আন্দোলন হঠাৎই অচলাবস্থার দিকে নিয়ে গেছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ করার দাবিতে চলা আন্দোলনে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে গতকাল থেকে শুরু হয় কর্মবিরতি। দেশব্যাপী চলে এই কর্মবিরতি। আজ শিক্ষকরা মার্চ টু সচিবালয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এরই মধ্যে আন্দোলন চলাকালে ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ধস্তাধস্তি ও হামলার ঘটনায় সারা দেশের সরকারি কলেজে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন এসোসিয়েশন। অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫’ চূড়ান্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবিতে রাজধানীর শিক্ষা ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল মহাসমাবেশ থেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন নিয়োগবঞ্চিতরা। তাদের দাবি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ দিতে হবে। মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া, ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দাবিতে আন্দোলন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। আন্দোলনে রোববার পুলিশের হামলার প্রতিবাদে সারা দেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গতকাল কর্মবিরতি পালিত হয়। সেইসঙ্গে শিক্ষকরা ঘোষণা দিয়েছেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার। এতে প্রায় পুরো দেশের সকল এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

গতকাল শিক্ষকরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তারা আজ দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করার কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও শিক্ষকদের ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচিসহ সব আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী। তিনি বলেন, আজ সোমবার রাতের মধ্যে প্রজ্ঞাপন বা কোনো ঘোষণা যদি না দেয়া হয়, তাহলে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ ও চলমান কর্মবিরতি এবং অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে। 

গত সোমবার চলমান তিন দফা আন্দোলনে পুলিশ শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকেই ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট’-এর ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন দেশের বিভিন্ন এলাকার শত শত শিক্ষক। পুলিশের হামলার প্রতিবাদ ও দাবির পক্ষে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি, সংগঠন থেকেও সংহতি এবং প্রতিবাদ জানানো হয়। গত ১৩ই আগস্ট একই দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট’। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ও ভাতা বাড়ানোর পাশাপাশি সর্বজনীন বদলি চালুর দাবি জানিয়েছিলেন। সে সময় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৪ই সেপ্টেম্বর অর্ধদিবস, ১৫ ও ১৬ই সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং বিভাগীয় শহরে শিক্ষক সম্মেলনের আয়োজন করে। ওই সময়ই ১২ই অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতির মধ্যেই কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি কলেজের শিক্ষকরা। গতকাল সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ছিল। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা শুরুর প্রস্তুতির সময় ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘দালাল’ মন্তব্যের অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে শিক্ষকরা ধরে কমনরুমে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে অন্য শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে সহপাঠীকে ছাড়িয়ে আনেন। ‘বিসিএস জেনারেল এডুকেশন এসোসিয়েশন’-এর শিক্ষকদের বর্ণনা মতে, সোমবার সকাল ৯টায় শিক্ষা ভবনের দিকে যাওয়ার সময় কিছু ছাত্র কলেজের উপাধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে কলেজের শৃঙ্খলা ব্যাহত হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের আদেশে সকাল থেকেই শিক্ষকরা কলেজে ভিজিলেন্স টিম হিসেবে সতর্ক অবস্থানে থাকেন।

উচ্চমাধ্যমিকের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করলে কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. তৌহিদুর রহমান কলেজে অবস্থানকারী শিক্ষা ভবনের দিকে লংমার্চ কর্মসূচির উদ্দেশ্যে আগত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলতে অগ্রসর হন। সে সময় আকস্মিকভাবে কিছু ছাত্র তার উদ্দেশ্যে অশ্রাব্য কটুবাক্য উচ্চারণ করে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এরপর তারা উচ্চমাধ্যমিকের কিছু ছাত্রকেও আক্রমণ করে এবং শারীরিকভাবে হেনস্তা করে। এ সময় কলেজে বিপুল সংখ্যক বহিরাগত ও উপস্থিত ছিল যারা আক্রমণে অংশগ্রহণ করে। তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষকরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে বহিরাগতসহ দুষ্কৃতকারী শিক্ষার্থীরা পিছু হটে। পরবর্তীতে তারা সংগঠিত হয়ে শিক্ষক লাউঞ্জে আক্রমণ ও ভাঙচুর চালায়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে অবরুদ্ধ শিক্ষকদের উদ্ধার করে।
ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ধস্তাধস্তি ও হামলার ঘটনায় সারা দেশের সরকারি কলেজে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন এসোসিয়েশন। গতকাল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন সংগঠনের সদস্য সচিব ড. মো. মাসুদ রানা খান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে এবং শিক্ষক সমাজের মর্যাদা রক্ষার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে দেশের সব সরকারি কলেজে শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে না গিয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

এ বিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, ১৫ তারিখের পরে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও আহ্বায়ক কমিটি পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। এর আগে ঢাকা কলেজ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর মব আক্রমণ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানান শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা।
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সাত কলেজ প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা করেন। সকাল সোয়া ১১টার দিকে নীলক্ষেত দিয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবনের দিকে রওনা দেন। এ সময় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পুলিশ সচিবালয় সড়কের মুখে তাদের আটকে দেয়। অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরাও মিছিল নিয়ে যোগ দেন। শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যান। এ সময় শিক্ষা ভবন থেকে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের চার দাবি হলোÑ অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে অধ্যাদেশের খসড়া সংশোধন করে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারির প্রতিশ্রুতি দেয়া, চলমান সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিনা শর্তে আত্তীকরণের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে অধ্যাদেশে স্বীকৃতি দেয়া, অধ্যাদেশ জারির পরবর্তী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ভিসি, রেজিস্ট্রারসহ সব গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি ও ফেল করানোর হুমকি প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্পষ্ট অবস্থান ঘোষণা। এরপর শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সঙ্গে আলোচনা করতে শিক্ষা ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষার্থীদের ২৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে প্রবেশ করেন।

এরপর তারা বেরিয়ে এসে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন। তারা বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা ও তার পিএস আমাদের জানিয়েছেন, অধ্যাদেশের প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ হয়ে গেছে। ৬ হাজার মেইল পড়ার জন্য অধ্যাদেশের দ্বিতীয় ধাপের কাজ ধীরগতিতে চলছিল। কিন্তু বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের ২ জনের জায়গায় ৫ জন নিয়োগ করেছেন।
এদিকে, কলেজের স্বতন্ত্রতা ধরে রাখতে আন্দোলন করেন সাত কলেজের আরেকটি অংশ। তারা জাতীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তাদের কলেজগুলোর উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের স্বাতন্ত্র বজায় রাখার দাবি জানান। ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা মহিলা সরকারি কলেজের ছাত্রীদের একাংশ প্রস্তাবিত কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় চান না। এ জন্য তারা খসড়া অধ্যাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, আসন্ন ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের কারণে আমাদের কলেজগুলোর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে। আমরা এই সংকটের পূর্ণাঙ্গ নিরসন চাই। সরকার যদি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করতে চায়, তবে তা বিদ্যমান কলেজগুলোর কাঠামো নষ্ট না করে পৃথকভাবে করা উচিত। শিক্ষার মান উন্নয়ন বা প্রশাসনিক সুবিধার নামে কলেজের ঐতিহ্য ও স্বাতন্ত্র নষ্ট হতে দেয়া হবে না।

অপরদিকে, ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদ পড়া প্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে গতকাল মহাসমাবেশ করেন। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) দপ্তরের ফটকে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তালা মারেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। তাদের দুই দাবি হলো, এ বছরের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত শূন্যপদ যুক্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’ দিতে হবে এবং নীতিমালা পরিবর্তনের আগে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ও সুপারিশবঞ্চিত ১৬ হাজার ২১৩ জন প্রার্থীর বিষয়ভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নিয়োগ দিতে হবে।

সোমবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে তারা তালা লাগিয়ে ভবনের ভেতরে অবস্থান নেন। পরে সাড়ে ৪টায় তালা ভেঙে আন্দোলনকারীদের ভবনের বাইরে বের করে দেয় পুলিশ। এরপর থেকে পুলিশ ভেতরে, আর আন্দোলনকারীরা বাইরে অবস্থান নেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এর আগে বিক্ষোভ থেকে একটি প্রতিনিধিদল এনটিআরসি-এর অতিরিক্ত সচিব আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা বেরিয়ে এসে বলেন, তারা আমাদের কোনো দাবি মেনে নেয়নি।

উল্লেখ্য, গত ১৬ই জুন জারি করা ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য থাকা ১ লাখ ৮২২টি শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদন চায় এনটিআরসিএ। ২২শে জুন থেকে ১০ই জুলাই পর্যন্ত চলে আবেদন প্রক্রিয়া। গত ১৯শে অগাস্ট ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করে গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করা হয়।