Image description

আইনে পোস্টাল ব্যালটের নিয়ম থাকলেও তা কেবল কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে। এত বছরেও বিদেশ থেকে আসেনি একটি ভোট। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটে আগ্রহী করতে বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়েছে কমিশন।

প্রথমবার সরবরাহ করা হবে প্রতীক সম্বলিত পোস্টাল ব্যালট। শুধু প্রবাসীরাই নয়, কারাবন্দি ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন।

নভেম্বরের মাঝামাঝি ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ নিয়ে আসছে ইসি। জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করে অনলাইনে করতে হবে নিবন্ধন। প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার আগেই ইসির তালিকায় থাকা প্রতীক এবং ‘না’ ভোট সম্বলিত ব্যালট পেপার ভোটারদের কাছে পাঠানো হবে। এতে থাকবে না প্রার্থীর নাম। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর তারা ভোট দেবেন।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হলে অ্যাপে সংসদীয় আসনের প্রার্থী ও তাদের প্রতীক দেখা যাবে। ভোটার তখন তার পছন্দের প্রতীকের কোড দিয়ে ডিক্লারেশন সাইন করে রির্টান ব্যালট পোস্ট করে দেবেন। এই একেকটি পোস্টাল ব্যালট সংগ্রহ করতে আমাদের ৭০০ টাকা ব্যায় হচ্ছে, এটি সরকার বহন করছে।

তবে চ্যালেঞ্জ রয়েছে বেশ কয়েকটি। এছাড়া, শেষ মুহূর্তে আদালতের আদেশে প্রার্থী তালিকার পরিবর্তন ও ভোট বাতিলের আশঙ্কাকে ঝুঁকি হিসেবে দেখছে কমিশন।

আবুল ফজল সানাউল্লাহ বলেন, সাইবার হ্যাকিংয়ের সমস্যা আছে, গোপনীয়তা রক্ষার চ্যালেঞ্জ আছে, আরেকটি হচ্ছে ভোট নষ্ট হওয়ার বিষয়; বৈশ্বিকভাবে পোস্টাল ব্যালটে ভোট নষ্ট হওয়ার হার ২৪ শতাংশ, আমাদের মতো দেশের ক্ষেত্রে এটি আরও বড় চ্যালেঞ্জ।

পোস্টাল ব্যালটে ভোটদান শেষে আবার ডাকযোগে পাঠানোর সময় কমানোর পরামর্শ দিলেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ জেসমিন টুলি। পাশাপাশি পোস্টাল ব্যালট গণনা প্রক্রিয়ায় নজর দেয়ার পরামর্শ তার। না হলে ভেস্তে যাবে ইসির প্রচেষ্টা, নষ্ট হবে সরকারি অর্থ।

এর আগেও চব্বিশের নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালট উৎসাহিত করতে ভোট দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। তবে পদ্ধতিগত ঝামেলায় কাজে আসেনি সে উদ্যোগ।