
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সুযোগ পেলেই ঘোষণা করছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশে একটা ‘সেরা’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার সুরে সুর মিলিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনও বলে চলেছেন, ইতিহাসের ‘সেরা’ নির্বাচন আয়োজন করার প্রস্তুতি চলছে। নজিরবিহীন কলঙ্ক ও তামাশায় ভরপুর পর পর তিনটি জাতীয় নির্বাচন দেখে ত্যক্তবিরক্ত দেশবাসীও একটি ‘সেরা’ নির্বাচনের জন্য উন্মুুখ হয়ে অপেক্ষা করছেন। যদিও বহুল প্রত্যাশিত এ নির্বাচকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়ন এবং দেশবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের পথে রয়েছে ১০টি মারাত্মক চ্যালেঞ্জ।
বিশেষ করে দেশব্যাপী পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা, লুণ্ঠিত কয়েক হাজার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার না হওয়া, তথ্যাকথিত ‘মব’ভীতির কারণে বিগত সরকারের সময় অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হতে অনাগ্রহ, গণঅভুত্থানের শক্তিগুলোর মুখোমুখি অবস্থান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার এবং নির্বাচন কমিশনের ওপর বিভিন্ন মহলের ধারাবাহিক চাপের কারণে প্রত্যাশিত ‘সেরা’ নির্বাচন আয়োজন কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকদের মতে, সেরা নির্বাচনের অন্যতম প্রধান শর্ত হলো শান্তিপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করা। অথচ দেশে রাজনৈতিক হানাহানি লেগেই আছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) দেশে কমপক্ষে ৬৯২টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছে অন্তত ১০৭ জন এবং আহত হয়েছে ৫ হাজার ৫৭৯ জন।
নিহতদের মধ্যে ৭১ জন বিএনপি সমর্থক। এ ছাড়াও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ২৩ জন, জামায়াতে ইসলামীর ৩ জন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ১ জন এবং ইউপিডিএফের ৬ জন রয়েছেন। অপর ৩ জনের রাজনৈতিক পরিচয় মেলেনি। রিপোর্টে বলা হয়, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অন্তত ১১১টি ঘটনায় ৮০ জন নিহত হয়েছে এবং দেড় শতাধিক আহত হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১৪ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার হারানো মনোবল এখনো ফিরে পায়নি। হাসিনাবিরোধী আন্দোলন দমনে নির্বিচারে গুলি ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগসহ সহিংস অবস্থানের কারণে তীব্র জনরোষের মুখে পড়ে পুলিশ। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যার অভিযোগে এই বাহিনীর কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় সদস্যদের মধ্যে তীব্র ভয়ের সঞ্চার হয়।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পুলিশ বাহিনীর মনোবল ফেরাতে নানান উদ্যোগ নেয়। আনা হয় নতুন নেতৃত্ব, বাড়ানো হয় ঝুঁকি ভাতা এবং দেওয়া হয় পদোন্নতি। কিন্তু কোনো উদ্যোগই আশানুরূপ ফল আনতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ এখনো নিষ্ক্রিয়। ফলে একের পর এক সহিংসতা, চুরি, ছিনতাই এবং জোরপূর্বক উদ্দেশ্য হাসিলের প্রবণতা বাড়ছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের ৬৬৪টির মধ্যে ৪৬০ থানায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়। তখন ১১৪টি ফাঁড়িতেও লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা। থানা ও ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে পিস্তল, রিভলভার, শটগানসহ ১১ ধরনের প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র লুট করে হামলাকারীরা। লুট হওয়া ৪ হাজার ৩৮৩টি অস্ত্র ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ১ হাজার ৩৬৬টি অস্ত্র উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ছাড়া লুট হওয়া ৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৩২টির মধ্যে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৪৫টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক মানের করতে হলে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ ভোট পড়তে হবে। এক্ষেত্রে বড় বাধা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া। প্রতীক না থাকলে কিংবা দলীয় নেতারা প্রার্থী হতে না পারলে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে আসতে আগ্রহী হবে না জানিয়ে তারা বলেন, গ্রাম এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের কাছে দলীয়ভাবে বেশ পরিচিত। বিগত শাসনামলে তাদের অনেকেই নানা অপকর্মে যুক্ত হয়েছে।
কাজেই জনরোষে পড়ার ভয়ে এদের অনেকেই ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সাহস পাবে না। এ কারণে কাক্সিক্ষত হারে ভোট আদায়ের সম্ভাবনা নেই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব মতের ভোটারদের নির্বিঘেœ ভোটকেন্দ্রে আসার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করাই কমিশনের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে রবিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাশেষে ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বিগত ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালের তিনটি বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব থেকে যথাসম্ভব বিরত রাখা হবে। মাঠপর্যায়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওসিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।
নির্বাচনে নিñিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এবারের জাতীয় নির্বাচনে বিজিবির ১১০০ প্লাটুনে ৩৩ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ২৮টি ব্যাচে তিনদিন মেয়াদি প্রশিক্ষণ সারাদেশে (জেলা, মহানগর ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান) ১৩০টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে একটি ব্যাচের (৬ হাজার ৫০০ জন) প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে এবং আরেকটি (২য়) ব্যাচের (৬ হাজার ৫০০ জন) প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।
নির্বাচনের জন্য পুলিশের চূড়ান্ত (৪র্থ পর্যায়ের) প্রশিক্ষণ গত ৫ অক্টোবর শুরু হয়েছে এবং আগামী ১৫ জানুয়ারি সব ব্যাচের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব অস্ত্র তো সব সময় উদ্ধার হয় না। কিছু তো বাইরে থাকবেই, এ জন্যই তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদি সবকিছু উদ্ধার হতো, সবকিছু নরমাল হতো, তাহলে তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাগতো না, নরমাল ইলেকশন হয়ে যেত।
জানা যায়, নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন সংক্রান্ত নয়টি আইন আমরা সংশোধন করেছে। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ প্রদান শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধি চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনীও প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে কোনো কিছুতেই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইসির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো আস্থা ফিরিয়ে আনা। কারোর প্রতি পক্ষপাতিত্ব না হয়ে নিজেদের শক্তিতে শক্তিমান হওয়া। মেরুদ- শক্ত রেখে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করা।
ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সাম্প্রতিক বিভক্তিও সেরা নির্বাচন আয়োজনের পথে অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে নির্বাচনী প্রতীক প্রশ্নে এনসিপির সঙ্গে বিরোধের মীমাংসা না হওয়ায় কঠোর অবস্থান নিয়ে রেখেছে নবগঠিত দলটি। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কঠোর অবস্থান ভাবিয়ে তুলেছে নির্বাচন কমিশনকে। তারা তো এখনো পর্যন্ত রাজপথেই আছে।
দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও নির্বাচনের জোটসঙ্গী জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক এখন সাপে-নেউলে। পরিস্থিতির সুযোগে নিয়মিত বিরতিতে রাজপথে মিছিল বের করছে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। স্বাভাবিক কারণেই সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে প্রতিবন্ধকতা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
এতসব প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে দেশে একটা ‘সেরা’ নির্বাচন কীভাবে হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলেন, দেশের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হলে সেটা প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যাবে। ইতিহাসের সেরা নির্বাচন করতে হলে সব দলের অংশগ্রহণ লাগবে।
অন্তত আওয়ামী লীগের সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রে নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইবেন, তাদের জন্য অন্তত সুযোগটা রাখতে হবে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে কমিশনকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনে কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করার দায়িত্ব তিনি নিজে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক। নতুন দপ্তরে যোগ দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ হলো, এটা সুষ্ঠু একটা নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে চাকরি করব। আমাদের যারা মাঠ প্রশাসনে আছেন, আমার বিশ্বাস তারা অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে এই দায়িত্ব পালন করবেন। সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমার। এই দায়িত্ব আমি নিলাম।’
যদিও প্রশাসনের স্তরে স্তরে আওয়ামী লীগের অন্ধ আনুগত্যকারী কর্মকর্তারা বসে আছেন। খোদ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অনেকে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে। সেরা নির্বাচন অনুষ্ঠানে তারাই এখন অন্যতম বড় প্রতিবন্ধক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
‘সেরা’ নির্বাচন আয়োজনে চ্যালেঞ্জ যে আছে সে কথা অকপটে স্বীকারও করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। নির্বাচন ঘিরে মানুষের আস্থা ফেরানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকাটা যেমন চ্যালেঞ্জ তেমনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবক্ষেত্রে মানুষের আস্থা ফেরানোটাও বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষকে কেন্দ্রমুখী করতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে আস্থা ফেরাতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের হুঁশ থাকা পর্যন্ত সকল কার্যক্রম একেবারেই সোজা থাকবে, বিধিবিধান বা আইনকানুন ছাড়া এটা বাঁকা হবে না। নানা কারণে বিগত সময়ের নির্বাচনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এবারের নির্বাচন হবে বিশ্বমানের। বিগত নির্বাচনে যেসব মাঠ কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালনের সময় সমালোচিত হয়েছেন, আগামী নির্বাচনে তাদের পরিবর্তে বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। সেরা নির্বাচন আয়োজনে যারা প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে তাদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হবে বলেও ঘোষণা দেন সিইসি।