Image description

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২১ নং ছাত্র হলের একটি কক্ষে (পূর্বের নাম শেখ রাসেল হল) বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ৫৪ ব্যাচের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের) শিক্ষার্থীদের অন্ধকারে দাঁড় করিয়ে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় ১৬ জনকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সাময়িক বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী- মো. তানভীর রহমান মুন, মো. আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ, আব্দুল্লাহ আল সাঈদ, মো. আবু তালহা রনি, রাজিব শেখ, এস. এম. মাহামুদুন্নবী, মো. আবু সাইদ, জান্নাতুল আদন, আহম্মেদ আরেফিন রাতুল, তাসনিমুল হাসান জুবায়ের, মো. মাহামুদুল হাসান ফুয়াদ, মো. আল হাসিব, মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. রাকিবুল হাসান নিবির, মো. জাহিদুল ইসলাম এবং উশান্ত ত্রিপুরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল ১২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ নং (ছাত্র) হলে প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের কতিপয় শিক্ষার্থী একই বিভাগের ৫৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে র‍্যাগিং করার ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের নির্দেশক্রমে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রণীত শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮’-এর ধারা ৪-এর (১) (খ) অনুযায়ী অভিযুক্ত ১৬ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এছাড়াও অভিযোগ তদন্তের জন্য মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামানকে সভাপতি, সহকারী প্রক্টর ড. মো. আল-আমিন খানকে সদস্য এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চ শিক্ষা ও বৃত্তি) লুৎফর রহমান আরিফকে সদস্য-সচিব করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, গতকাল রবিবার বিভাগটির ৫৩তম ব্যাচের (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের) শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ২১ নং হলের ৪০৩ নং রুমে জুনিয়রদের র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠে।

 

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রথমে রফিক-জব্বার চত্বরে ডাকা হয়। পরে তাদের ২১ নং হলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে যেতে বলা হয়। সেখানে ৫৪তম ব্যাচের ২০ জন  শিক্ষার্থী উপস্থিত হন। 

আরও জানা যায়, কক্ষে প্রবেশের পর নবীনদের দুই সারিতে দাঁড় করানো হয়। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখতে বলা হয় এবং কক্ষের দরজা ও জানালাসহ সব আলো নিভিয়ে রাখা হয়। প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট অন্ধকার রুমে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় তাদের। এ সময় তাদের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন ও শৃঙ্খলা সম্পর্কিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়।

একজন নবীন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা সবাই ভয় পেয়েছিলাম। দরজা বন্ধ, লাইট বন্ধ, সবাইকে সেনাবাহিনীর ট্রেনিংয়ের মতো দুই সারিতে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ কয়েকজন বড় ভাই রুমে ঢুকে লাইট অন করেন।