
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল ও ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালা প্রণয়ন, কুরআনে অবমাননার বিচার, কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষ ও ধর্ম অবমাননা রোধে সর্বোচ্চ কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
সোমবার ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, মহাসচিব সাজিদুর রহমান, যুগ্মমহাসচিব মামুনুল হক, মাওলানা জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইসলামে বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগে বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। তারা অনতিবিলম্বে এই বিধিমালা প্রত্যাহার করে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালা প্রণয়নের দাবি জানান।
হেফাজতে ইসলামের তিন দফা দাবি হলো-
১. অনতিবিলম্বে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা জারি করতে হবে।
২. কুরআন অবমাননার দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া দীর্ঘ বিচারহীনতা প্রসূত আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠেকাতে মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সব ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় অনুভূতির সুরক্ষায় ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর আইন করতে হবে।
৩. রাষ্ট্রীয়ভাবে ৫ মে শাপলা গণহত্যা দিবস ঘোষণা করতে হবে।
হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আমাদের সুফি-জনতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গান বাজনা চায় না। তারা একটি ইসলামী আদর্শের রাষ্ট্র চায়। অভিভাবকরাও তাদের ছেলে-মেয়েদের গান-বাজনা শেখাতে স্কুলে পাঠায় না।
সরকারকে অনতিবিলম্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে সব বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালা প্রণয়নের দাবি জানান তিনি।