Image description

প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থানের পাশে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ভয় দেখিয়ে ও বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম। তিনি বলেছেন, ‘তারা অধিকাংশই চলে গেছে। কিছু এদিক-সেদিক আছে। যান চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক।’

তিনি বলেন, ‘যারা যেতে চায়নি, ঢিল মেরেছে- তাদের কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। তারা পাঁচ-ছয়জন হেফাজতে আছে। যারা নেতৃত্বে আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলব। আমরা শিক্ষককের সম্মান করি। তাদের আটকে রাখা বা মামলার করার কোনও ইনটেনশন নেই। আমাদের উদ্দেশ্য জায়গাটায় মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করা।’

আজ রবিবার (১২ অক্টোবর) বেলা পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় এসব কথা বলেন তিনি। পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত ইস্যু ছিল। তারা অর্থ সচিবের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। আমরা ‌১০ জনের বেশি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছি। তারা কথা বলে এসেছেন। সেখানে কনভিনসড হয়ে তারা এসে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তারা এখানে স্থগিত করে শহীদ মিনারে অবস্থান করতে চেয়েছেন।’

ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ‘তারা অর্ধেকের বেশি ওখানে যান, আর অর্ধেক এখানে (প্রেসক্লাবে) অবস্থান নেন। তখন নেতারা বলেন, তাদের দায়িত্ব আমরা নিতে পারব না। তারা যেহেতু কথা শোনেনি, অন্য কেউ হতে পারে। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে সময় দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসক্লাবের সামনে বন্ধ হওয়া মানে সারা ঢাকা শহরে প্রভাব পড়ে। মানুষের অবর্ণনীয় দুর্দশা হয়। সাউন্ড গ্রেনেড মেরেছি যেন তারা ভয় পায়। দূরে মেরেছি, তারা যেন আস্তে আস্তে সরে যায়। এভাবে কয়েক দফায় করা লেগেছে।’

এর আগে ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়াসহ তিন দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এসময় কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। জলকামানও নিক্ষেপ করা হয়েছে। আজ রবিবার (১২ অক্টোবর) বেলা পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।