
গুমের মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক ও বর্তমান ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে এখনো ওয়ারেন্টের কপি সেনাসদরের হাতে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সেনাসদরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
সেনাসদরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, অভিযুক্ত ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ৯ জন অবসরে রয়েছেন। ইতোমধ্যে অবসরপ্রাপ্ত একজনসহ মোট ১৫ জনকে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনী আদালতের রায় মেনে নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, টিভি স্ক্রল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেই ১৫ জনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীতে থাকার সময় এরা অন্যায় করেনি, বিভিন্ন বাহিনীতে তাদের যখন পাঠানো হয়, তখন তারা এসব অপরাধে জড়ায়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী ২২ অক্টোবর হেফাজতে নেয়াদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার বিষয়ে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, মেজর জেনারেল কবির না জানিয়ে অবৈধভাবে ছুটিতে গেছেন। এয়ারপোর্টসহ সবাইকে বলা হয়েছে- উনি যেন দেশ ছাড়তে না পারেন। যারা গুম হয়েছেন, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল সেনাবাহিনী। সকল অপরাধের বিচারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে সেনাবাহিনী।