
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-১৬ আসনে (বাঁশখালী) বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মফিজুর রহমান আশিক বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৩১ দফার ভিত্তিতে আগামীর রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। তারেক রহমানের ৩১ দফার বাস্তবায়ন হলে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।
শনিবার বিকালে বাঁশখালী উপজেলা সদর ও মিয়ার বাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নে জনমত গঠন ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
গুম ফেরত আশিক বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করতে গিয়ে দুইবার গুমের শিকার হয়েছি। আয়নাঘরের মতো বীভৎস জায়গায় বন্দি ছিলাম। গুমের পর স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার বাহিনীর নির্মম নির্যাতনে আমার ডান হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। তারা আমার হাত, কোমর ও আমার হাঁটু ভেঙে দিয়েছিল। আন্দোলন করতে গিয়ে অসংখ্যবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। দুইবার গুম হওয়ার পরও ভাঙা কোমর ও হাঁটু নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলাম। এই হাসিনার পতনে একটু হলেও আমার অবদান রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার গুম হওয়ার সময়ে আমাদের নেতা রুহুল কবির রিজভী ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো আমার পাশে দাঁড়ানোর কারণে দ্বিতীয়বারের মতো জীবন ফিরে পেয়েছিলাম। সিটিসিসি (পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট) আমাকে গুম করার পর মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। সেদিন যদি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো আমার পাশে না দাঁড়াত, তাহলে আজ আমার কোনো হদিস থাকত না। এত এত নির্যাতনের পরও ভাঙা কোমর ও হাঁটু নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি।’
পথচারী ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আশিক আরও বলেন, ‘রাষ্ট্র যখন গভীর সংকটে, তখনই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের রূপরেখা ঘোষণা করেন- তা নিঃসন্দেহে এদেশের মানুষের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ৩১ দফা রাজনৈতিক দল বা জোটের কর্মসূচি নয়, এটি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার ঘোষণাপত্র। তাই আমি সব সহযোদ্ধা, জনগণ ও ছাত্রসমাজকে বলব আসুন- আমরা সবাই ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাঁশখালীর প্রভাবশালী সাবেক তিন ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত, বদরু, জসিম হায়দার তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন, ফাঁসির দাবিতে মিছিল করেছেন। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বাঁশখালীতে এত বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী, অথচ ওইদিনের ঘটনায় এসব নেতারা কোনো প্রতিবাদ করেননি। এমনকি ৫ আগস্ট পরবর্তী উল্টো তাদেরকে মামলা না দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন তারা। আমি বাঁশখালী বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই- আমাদের আবেগ, উৎসাহ, অনুপ্রেরণার নাম হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আমরা যদি তারেক রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সম্মান রক্ষা করতে না পারি, তাহলে সেটা হবে দলের সঙ্গে প্রতারণা।’