
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ভাইয়ের পর এবার বোনও মারা গেছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) একই হাসপাতালে মৃত্যু হয় ছোট ভাইয়ের।
এর আগে, গত ১ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মডার্ন রোডের রাহাত মঞ্জিলের দ্বিতীয় তলার ভাড়া বাসায় এ বিস্ফোরণ হয়। এতে দুই শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন আহত হয়।
নিহত দুই শিশুর বাবা কুমোদ চন্দ্র নাথ বলেন, গত ১ অক্টোবর ঘরের গ্যাস লাইনের পাইপ বিস্ফোরণ হলে বিভিন্ন কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমি, আমার স্ত্রী সবিতা রানী নাথ, ছেলে-মেয়েসহ চারজন দগ্ধ হই। এর মধ্যে বড় মেয়ে মেয়ে ঐর্দিকা (৮) ও ছেলে তূর্যের (৪) শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আমরা স্বামী-স্ত্রী ২০ শতাংশের নিচে দগ্ধ হয়েছি।
তিনি আরও জানান, সেদিন রাতে ঐর্দিকা ও তূর্যকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তুর্যের অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে ৯ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বড় মেয়েকে আইসিইউতেই রাখা হয়। আজ শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
শীর্ষনিউজ