
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে শেখ হাসিনা সরকার কর্তৃক ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করা প্রবাসী বাংলাদেশীরাও অংশগ্রহণ করেন। এরকম প্রতিবাদে অংশ নিয়ে ৬ মাসের বেশি সময় ধরে আবুধাবির কারাগারে বন্দী থাকার পর মারা গেছেন এক প্রবাসী বাংলাদেশি।
নিহতের নাম আব্দুল হামিদ। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে। গত সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখ আল সদর কারাগারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। আব্দুল হামিদ আবুধাবি সিটিতে হাউজিংয়ের ব্যবসা করতেন।
আব্দুল হামিদের দ্বিতীয় স্ত্রী কোহিনুর আখতারের সাথে কথা বলেছে দ্য ডিসেন্ট।
কোহিনুর বলেন, 'গতকাল (৭ অক্টোবর) দুবাইয়ের কনস্যুলেট অফিস থেকে রেজা নামের এক কর্মকর্তা ফোন করে মৃত্যু সংবাদ জানান। আব্দুল হামিদ গত মাসের ২২ তারিখ মারা যান বলে ওই কর্মকর্তা জানান। মৃত্যুর কারণ হিসেবে অসুস্থতার কথা বলেছেন। পাশাপাশি লাশ দেশে হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন ওই কর্মকর্তা।'
কোহিনুর আরো জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস থেকে তাঁর সাথে যোগাযোগ করে বলা হয় আব্দুল হামিদের পাসপোর্ট নাম্বারসহ প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস দিতে৷ কারণ হিসেবে বলা হয় তাঁদের মুক্তির জন্য এই কাগজগুলো প্রয়োজন। এরপর আর তারা কোনো তথ্য পাননি।
তবে কীভাবে মারা গেলেন আব্দুল হামিদ তা নিয়ে সন্দিহান তাঁর পরিবার। স্ত্রী কোহিনুর বলেন, আব্দুল হামিদের তেমন বড় কোনো অসুস্থতা ছিল না। ডায়াবেটিস ও প্রেশার এসব ছিল। স্ত্রীর আশঙ্কা, কারাগারে নির্যাতন থেকেও তাঁর মৃত্যু হতে পারে।
এসব বিষয়ে কথা বলতে রেজা নামক দুবাই কনস্যুলেট অফিসের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে দ্য ডিসেন্ট। তাকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করা হয়। ফোন না ধরায় ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া শাখার পরিচালক মোস্তফা জামিল খান দ্য ডিসেন্ট-কে আব্দুল হামিদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় কারাগার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর তিনি হাসপাতালে মারা যান।