
কুমিল্লায় বুড়িচং এবং ব্রাহ্মণপাড়া থানার দুইজন ওসিকে দেখে নেয়ার হুমকি দিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এহতেশামুল হাসান রুমি ।
৭ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এহতেশামুল হাসান রুমি তার আইডি থেকে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে এই হুমকি দিয়েছেন। এহতেশামুল হাসান রুমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এছাড়াও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছিলেন কুমিল্লা ৫ বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া থেকে।
এহতেশামুল হাসান রুমি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন,
বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়া’র পুলিশ এর কতিপয় কর্মকর্তা, যদি ভাবেন সতর্ক করছি- তাই, যদি ভাবেন থ্রেড দিচ্ছি- তাই, যদি ভাবেন সুপরামর্শ দিচ্ছি- তাই।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধরতে যেয়ে পরিবার-পরিজন, স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মার সাথে যারা অসভ্য আচরণ করছেন, অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছেন, মামলা অভিযোগ ছাড়াই সাধারণ নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ এর বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়া’র অত্যাচারী রহমান দারোগার সাথে একবার কথা বলে নিয়েন। এই দেশটা কিন্তু জোয়ার ভাটার। বোঝেন নাই এক বছরেই দেশের রং বদলে গেছে ।
নিজের পেইজে, আওয়ামী লীগের পেইজে, সারা পৃথিবীতে আওয়ামী লীগের যত পেইজ একটিভ সবগুলোতে নাম-ঠিকানা পিতার নাম পরিবার পরিজনের নাম সহ দিয়ে দিব। সারা জীবন মাথার উপর ছড়ি ঘুরবে। আর আল্লাহ পাক সদয় হয়ে ভালো দিন দিলে কুমিল্লায় পোস্টিং করাবো ইনশাআল্লাহ ।
গোয়েন্দার সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মিছিল গুলোতে অর্থায়ন ও সমন্বয় করেছিলেন এহতেশামুল হাসান রুমি। রুমিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেও এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। জুলাই বিপ্লবে ছাত্রজনতার ওপর হামলার একাধিক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আজিজুল হক দৈনিক আমার দেশ কে বলেন, কে কি থ্রেট দিল এটা দেখার বিষয় নয়। আমরা আইন অনুযায়ী কাজ করছি। আইনের বাইরে আমরা কোন কাজ করছি না।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাজিদুল ইসলাম দৈনিক আমার দেশ কে বলেন, কারো নামে যদি মামলা থাকে তাহলে আমরা গ্রেপ্তার করবো। অহেতুক কাউকে হয়রানি করবো না। আমরা আইনের কাজ করি। কে হুমকি-ধমকি দিল আমরা তা পরোয়া করি না।