
ভারতে পাচারকালে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যসহ ২৪ জনকে আটক করেছে বিজিবি। সোমবার দিবাগত সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্তের গজারি বাগান নামের এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে স্থানীয় গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান বিজিবির ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) অধিনায়ক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঝিনাইগাতীর হলদীগ্রাম বিওপির একটি টহলদল সোমবার রাতে বিশেষ অভিযান চালায়। এসময় ভারতে অনুপ্রবেশকালে সীমান্ত পিলার ১১১০/এমপি থেকে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গজারি বাগান নামক স্থান থেকে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা ২৪ জনকে আটক করা হয়।
এসময় তাদেরকে বহনকারী চারটি অটোরিকশা এবং দেহ তল্লাশি করে নগদ ৫৪ হাজার ৪০০ টাকা, সিম কার্ডসহ ১৪টি মোবাইল ফোন সেট, একটি করে হাতঘড়ি ও পাওয়ারব্যাংক জব্দ করা হয়। বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার দুপুরে আটকদের ঝিনাইগাতী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
আটকদের মধ্যে পাচারের জন্য জড়ো করা হয় ১৮ জনকে। এর মধ্যে ১৬ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার এবং একজন করে নাটোর ও রাজশাহী জেলার অধিবাসী। পাচারকারীচক্রের দুইজনের একজনর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার এবং অপরজন শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার বাতকুচি গ্রামের বাসিন্দা। আর চার অটোরিকশাচালকের সবাই নালিতাবাড়ীর নন্নী, সমশ্চূড়া ও বুরুঙ্গা এলাকার বাসিন্দা।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই মানবপাচারের মূল হোতা শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা গ্রামের মফিদুল ইসলাম (৩০)। তিনি পলাতক রয়েছেন। আটকরা প্রত্যেকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য দালাল চক্রের সঙ্গে লেনদেন করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আল-আমীন বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে আটক ২৪ জনকে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক দুইজনের বিরুদ্ধে মানবপাচার রোধ ও দমন আইন ২০১২ অনুযায়ী মামলা হয়েছে। আর অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টার দায়ে আরো একটি মামলা হয়েছে।