
যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিটুজি (সরকার থেকে সরকার) পদ্ধতিতে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে ভারত থেকে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই গম ও চাল আনতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৪ কোটি ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ৩০০ টাকা।
এছাড়া চীন, কানাডা ও সৌদি আরব থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ৮৪৭ কোটি ৩৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে এক লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি, ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনা হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই গম ও চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ভারতের এম/এস-বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই চাল আমদানি করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে এই চাল আনতে ব্যয় হবে ২১৯ কোটি ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৩৫৯.৭৭ ডলার। বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েটস থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এগ্রোক্রোপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই গম আমদানি করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটি থেকে এই গম আনতে ব্যয় হবে ৮২৫ কোটি ৩১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৩০৮ মার্কিন ডলার। এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরব থেকে এ সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১৫৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৪৩৫.০০ মার্কিন ডলার। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চীনের ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির পৃথক একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চীন থেকে এ সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৩৭৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৭৬৮.৭৫ মার্কিন ডলার। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চীনের ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড এবং বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৩৭৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৭৬৮.৭৫ মার্কিন ডলার।