
এক বছরে বাংলাদেশে ২৫৬ মসজিদ নির্মাণ করেছে কাতারভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ‘কাতার চ্যারিটি’। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রাম ও শহরতলি এই মসজিদগুলোর নির্মাণ সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি।
সংস্থার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এসব মসজিদে প্রায় ৫১ হাজার মুসল্লি এখন নিরাপদ ও আরামদায়ক পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পারছেন।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, পূর্বে টিনশেড বা কাঁচা কাঠামোয় নামাজ পড়তেন স্থানীয়রা। বর্ষাকালে পানি ঢুকে পড়া, গরমে বাতাস ও ফ্যানের অভাব—এসব কারণে নিয়মিত নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ত। নতুন মসজিদগুলোতে অজুখানা, নামাজের কার্পেট, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, লাইট, ফ্যান এবং মাইক্রোফোনসহ সব আধুনিক সুবিধা রাখা হয়েছে।
বরিশাল অঞ্চলের একটি মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ বাবুল খান বলেন, আগে আমাদের মসজিদটি ছিল একটি জীর্ণ টিনের ঘর। বৃষ্টির দিনে পানি ঢুকে পড়ত, আর গরমে থাকা যেত না। এখন কাতার চ্যারিটির সহায়তায় আমাদের একটি পূর্ণাঙ্গ, আরামদায়ক মসজিদ হয়েছে। স্থানীয়রা নিয়মিত নামাজে আসছেন।
তিনি আরও জানান, মসজিদগুলো এখন শুধু ইবাদতের জায়গা নয়, কোরআন শিক্ষা, যুব কার্যক্রম এবং সামাজিক সমাবেশের কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
কাতার চ্যারিটির তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে সংস্থাটি বাংলাদেশে ৬০০টিরও বেশি মসজিদ নির্মাণ করেছে। এসব মসজিদে প্রায় দেড় লাখ মুসল্লি নিরাপদ পরিবেশে ধর্মীয় অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছেন।
সংস্থাটি বলেছে, এসব উদ্যোগের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজে ধর্মীয় ও সামাজিক উন্নয়নের একটি টেকসই ভিত্তি গড়ে তুলতে চায়।