Image description
 
 

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত অর্থবছরে যা ছিল ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই ধারা আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত থাকতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এখনও চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানিয়ে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাটি বলছে, মূল্যস্ফীতি কমে আসা এবং ব্যক্তি খাতের ভোগব্যয় বৃদ্ধিই এই প্রবৃদ্ধির মূল চলনশক্তি। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ব্যাংক খাতের দুর্বলতায় বিনিয়োগ নিম্নমুখী থাকতে পারে।

গত সপ্তাহে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) বলেছিল, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি বেড়ে ৫ শতাংশ হতে পারে।

এদিকে এই প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের বিভাগীয় পরিচালক জ্যঁ পেম বলেছেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য বাংলাদেশের জোরেশোরে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এ ধরনের উত্তরণে অনেক ধরনের সুবিধাও আছে, এ বিষয়ে সরকারকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। বেসরকারি খাতকে উপযোগী করে তুলতে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

 

বিশ্বব্যাংকের মতে, বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা অব্যাহত থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ট্যারিফ কাঠামোর আওতায় বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান থাকবে। শক্ত অবস্থানে থাকবে রপ্তানির প্রবৃদ্ধিও। তবে আমদানি স্বাভাবিক হলে চলতি হিসাব আবার ঘাটতিতে ফিরে যাওয়ার শঙ্কা আছে।বাংলাদেশ ভ্রমণ

সংস্কারের ফলে রাজস্ব আয় বাড়ায় বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে বলে ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক। আগামী অর্থবছরে সরকারি ঋণ জিডিপির ৪১ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছাবে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, অর্থনীতিতে বেশ কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা, জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংস্কার কার্যক্রমে বিলম্ব।

আমদানি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলতি হিসাবের ভারসাম্য সামান্য ঘাটতিতে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানায় বিশ্বব্যাংক।