
Ali Ahmad Mabrur (আলী আহমেদ মাবরুর)
শহীদ আবরার ফাহাদের বড়ো কৃতিত্ব হলো তিনি সমস্যার একদম মূল জায়গায় হাত দিয়েছিলেন। আর তাহলো ভারতীয় আগ্রাসন ও ভারতীয় আধিপত্য। যদি তিনি সমস্যার গোড়ায় না যেতেন তাহলে হয়তো তাকে শহীদ হতে হতো না। আমি তার যোগ্যতা, মেধা ও দুরদর্শিতা এবং সর্বোপরি দেশপ্রেমকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।
ভারতের ভূমিকা বাংলাদেশের ওপর কী ভয়াবহ ছিল তা বোঝা যায়, যখন এই ভিডিও আমাদের চোখে পড়ে যে, আমাদের বিমান বন্দর দিয়ে কোনো ইমিগ্রেশন ছাড়াই বিপুল সংখ্যক মানুষ বিমানে উঠে নিজ দেশে চলে যাচ্ছে। কিংবা আল্লাহর এই বিশাল দুনিয়ায় আর কোনো দেশে না গিয়ে শেখ হাসিনা ভারতেই চলে গেলেন। আর ভারতও বাংলাদেশের সাথে এক্সট্রেডিশন চুক্তি থাকার পরও এক বছরের বেশি সময় শেখ হাসিনাকে নিজেদের হাতে রাখলেন; বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করলেন না।
কিংবা ৫ আগষ্টের পর থেকে ভারতীয় মিডিয়ার একপেশে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা। কারণ ছাড়াই জুলাই বিপ্লবের সরকারকে অসহযোগিতা কিংবা তাদেরকে নিয়ে কুৎসা রটনা। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারেও শসী থারুরের পোস্ট প্রমাণ করে বাংলাদেশ নিয়ে তারা কতটা কনসার্নড। হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের যত ভয় তা দিনে দিনে তারাই স্পষ্ট করেছে।
শহীদ আবরারের শাহাদাত দিবসে অন্য সব বাহাসের বাইরে গিয়ে আমাদের পর্যালোচনা করা উচিত যে, ভারতীয় আগ্রাসন নিয়ে আমরা কতটা সচেতন থাকতে পারছি। জনগণকে মোটিভেট ও মোবালাইজ করার ব্যাপারে আমরা কতটা তৎপর হতে পেরেছি। যে বিপ্লব পরবর্তী সরকারকে ভারতীয় সরকার ও মিডিয়া মেনে নিতে পারলো না; সেই সরকার কতটা ভারতের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিতে পারছে তা পর্যালোচনা করাও আমাদের দায়িত্ব।
ভারতের হাতে সমর্পন করলে শহীদ আবরার ফাহাদসহ আমাদের অসংখ্য শহীদের কাছে আমরা এমনিতেই ছোট হয়ে যাবো।
আল্লাহ তাআলা শহীদ আবরার ফাহাদের শাহাদাত কবুল করুন। তাকে জান্নাত নসীব করুন। আমিন।