ক্লিন সিটি গড়তে অনুমতিবিহীন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ডের মাধ্যমে সৌন্দর্য নষ্টের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
রোববার দুপুরে নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়, চেরাগি পাহাড়, আন্দরকিল্লা, লালদীঘি, চকবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বেআইনি পোস্টার, ব্যানার, সাইনবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন তিনি। এ সময় নিজের ছবি সম্বলিত ব্যানারও ছিঁড়েছেন মেয়র।
অভিযানে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ক্লিন সিটি গড়তে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা চাই শহরকে সুন্দর রাখতে সবাই যেন সচেতন হয়। যারা অনুমতি ছাড়া ব্যানার-পোস্টার টাঙাচ্ছে, তারা যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেগুলো সরিয়ে ফেলে। ভবিষ্যতে অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের পোস্টার, ব্যানার বা সাইনবোর্ড টাঙানো হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেয়র আরও বলেন, শহরের সৌন্দর্য রক্ষা করতে হলে নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। সিটি করপোরেশন থেকে অনুমতি না নিয়ে কেউ যেন ব্যানার-পোস্টার না লাগায়। যদি কেউ বিজ্ঞাপন দিতে চায়, তাহলে সেটা অনুমতি নিয়ে করবে। আমরা চাই প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার কিংবা ব্যক্তিগত ব্যবসা সবকিছুই আইনের আওতায় আসুক।
আক্ষেপ করে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে ৮০ শতাংশ কোচিং সেন্টার কোনো অনুমতি ছাড়াই পোস্টার-ব্যানার লাগায়। মাত্র ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে করপোরেশনের অনুমোদন নেয়। এতে সিটি করপোরেশন বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। অথচ একটি ব্যানারের জন্য মাত্র এক-দুই হাজার টাকা কর দিলেই যথেষ্ট। সেই অর্থ দিয়েই করপোরেশন শহরকে পরিষ্কার ও সবুজ রাখতে কাজ করতে পারে।
ডা. শাহাদাত বলেন, আমি নিজেই প্রতি মাসে অন্তত একবার মাঠে নামি এ ধরনের অভিযান পরিচালনার জন্য। কারণ এই শহর আমাদের নিজের শহর। যদি আমরা নিজের শহরের প্রতি দায়িত্বশীল হই, তাহলে কেউই শহরকে নোংরা রাখতে পারবে না। ব্যানারের কারণে সবুজ গাছপালা, রাস্তার সৌন্দর্য ঢেকে গেছে।
অভিযানে চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ) ও চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত মাসে নগরীর চকবাজার এলাকায় নিজের ছবি সম্বলিত ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়েছেন চসিক মেয়র ডা.শাহাদাত।
