
"কালকে ওসি সাব আইসা বলছে, তোমাদের রিপোর্টটা তো নেগেটিভ। তখন ওসি সাব বললো কোর্টে আপিল করে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারো। কিন্তু আমরাতো বিচার চাইতেছি," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন খাগড়াছড়ির গুঁইমারায় ধর্ষণের অভিযোগ তোলা স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা।
ওই স্কুল শিক্ষার্থীর শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জমা দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। ওই শিক্ষার্থীর বাবা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, পুলিশের কাছ থেকে এই প্রতিবেদনের খবর পান তারা।
ধর্ষণের 'আলামত না পাওয়ার' বিষয়টি পুলিশই তাদের জানিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এখন আইন- আদালত করেও সঠিক প্রতিবেদন পাবেন না মনে করেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা। তিনি বলেন, "এখন আমি যদি কোর্টে আপিল করি, ওখানে গেলেও রিপোর্টটা পাবো না তো।"
"এতোগুলা টাকা খরচ করে ওখানে যদি নেগেটিভ পাই, তাই ওখানে যাইয়া আর কি করবো, কোনো লাভও নাই," বলেন তিনি।
এখন তাহলে কী করবেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, "এখন কী ভাববো, এখন খালি বাড়িতে বইসা বইসা কান্না-কাটি। চোখের ঘুম নাই, এমন অবস্থায় আছি আর কি!"
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বিবিসি বাংলাকে জানান, মেডিকেল রিপোর্টের বিষয়ে কিশোরীর পরিবারকে জানানো হয়েছে। যদি এ ব্যাপারে তাদের কোনো বক্তব্য থাকে বা তারা আবারো পরীক্ষা করাতে চায়, সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব তারা যাতে আদালতে আবেদন করেন সেটা বলেছেন তিনি।
এদিকে, ধর্ষণের অভিযোগে বিচার দাবি করে কর্মসূচি পালন করা পাহাড়িদের প্ল্যাটফর্ম 'জুম্ম ছাত্র জনতা' এই স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেছে। এর কারণ উল্লেখ করে প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র কৃপায়ন মিত্র বিবিসি বাংলাকে বলেন, "ধর্ষণের আলামত মুছে ফেলার অতীত নজির রয়েছে।"
এ ঘটনায়ও এমন কিছু হয়েছে কি না সে বিষয়ে তারা প্রশাসনের সাথে গতকাল বুধবার বৈঠক করেছেন। আগামী রোববার পরবর্তী বৈঠকের পর অবরোধ কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, ধর্ষণের আলামত সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে প্রভাবিত হওয়ার কোনো সুযোগ আছে কি না–– এই প্রশ্ন করলে স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ছাবের।
ধর্ষণের অভিযোগে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে 'জুম্ম ছাত্র জনতা'র ডাকা অবরোধ গতকাল বুধবার প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় খাগড়াছড়ি শহরের সড়কগুলোয় এখনো মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে।
ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে অবরোধ এবং হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যার অভিযোগও রয়েছে।
মামলা তিনটির মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি সদর থানায় এবং অন্য দুইটি গুঁইমারা থানায় দায়ের করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বিবিসি বাংলাকে জানান, "সদর থানায় ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগে গতকালকে একটা মামলা হয়েছে। আর ওখানে গুঁইমারা থানায় দুইটা মামলা হয়েছে। ৩০২ ধারায় একটা মামলা, যেহেতু ওইখানে তিন জন খুন হয়েছে।"

ছবির উৎস,Samir Mallik
বিচার চান ভুক্তভোগীর বাবা
ধর্ষণের অভিযোগকারী কিশোরীর বাবা বিবিসি বাংলাকে জানান, ধর্ষণ সংক্রান্ত শারীরিক পরীক্ষার মেডিকেল রিপোর্টের বিষয়ে আদালতে যাবেন না তারা। এর কারণ হিসেবে নিজেদের আর্থিক দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন তিনি।
"আমাদের এতো টাকা-পয়সার সাধ্য নাই। অনেক দূরে যাওয়া। আমরা গরীব। খেটে খাওয়া মানুষ। কাজ না করলে পেটে ভাত নাই। ওই খানে যাইয়া আমরা কী করবো? ওখানে গেলেও আমাদেরকে কোনো সঠিক রিপোর্ট দিবে না। এজন্য কিছু বলারও নাই," বলেন তিনি।
গুঁইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদনের বিষয়ে গতকাল বুধবার তাকে অবহিত করেছেন বলে জানান তিনি।
উন্নত চিকিৎসার জন্য সাহায্য পেতে পুলিশ তাদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জানিয়ে কিশোরীর বাবা বলেন, "উন্নত চিকিৎসার জন্য গেলে তো আমাদের আর্থিক অনেক .... প্রয়োজন। তো ওখানে এতোগুলা টাকা খরচ করেও যদি নেগেটিভ পাই তো ওখানে যাইয়া আমরা কী করবো? কোনো লাভও নাই।"
সিভিল সার্জনের বক্তব্য
ধর্ষণের আলামত সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে প্রভাবিত হওয়ার কোনো সুযোগ আছে কি না, প্রশ্ন করা হলে সরাসরি উত্তর দেননি খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ছাবের। তিনি পরীক্ষার পুরো প্রক্রিয়ার একটা বর্ণনা দেন।
মি. ছাবের বিবিসি বাংলাকে বলেন, "জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স সেক্সুয়াল অ্যাসল্টের সারভাইভার যখন হাসপাতালে আসেন, আসার পরে আমাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গাইনি ওয়ার্ডে যারা কাজ করেন, তাদের একটা টিমের সমন্বয়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।"
তিনি জানান, শারীরিক পরীক্ষা ও একইসাথে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আর কিছু নমুনা পরবর্তী পরীক্ষার জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়।
"পরীক্ষার রিপোর্ট অ্যাপ্রুভ.... ডক্টরদের বাহ্যিক এক্সামিনেশনের ভিত্তিতে টিমের যে সকল সদস্যরা আছে, তারা একটা জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্সের রিপোর্ট দিয়ে থাকেন " বলেন মি. ছাবির।
পরে এই প্রতিবেদন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
সেখান থেকে ইতোমধ্যেই গতরাতে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
এই সিভিল সার্জন জানান, পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া এবং সকল কিছু সম্পন্ন করা হয়।খাগড়াছড়ির সর্বশেষ পরিস্থিতি
গত সপ্তাহে খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত শনিবার খাগড়াছড়ি সদরে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। পরে রোববার গুইমারায় একাধিক স্থানে সহিংসতার সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়।
এ সময় সেনাবাহিনীর ১৩ জন সদস্য আহত হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিলো।
গত সোমবার থেকে তিন পার্বত্য জেলায় অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে 'জুম্ম ছাত্র জনতা'। পরে গতকাল থেকে তা পাঁচই অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, খাগড়াছড়ি সদর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক। মানুষের জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
সদরের সড়কে বেড়েছে ব্যস্ত মানুষের সমাগম। বসেছে হাট-বাজার, খুলেছে মার্কেট। ক্রেতা সমাগমও বেড়েছে। মঙ্গলবার থেকে সীমিত পরিসরে দূরপাল্লার যান চলাচল শুরু হয়েছে। গত তিনদিনের তুলনায় আজ দূরপাল্লার যান চলাচল কিছুটা বেড়েছে।
'জুম্ম ছাত্র জনতা' সড়ক অবরোধ স্থগিত করায় যান চলাচল ও জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
তবে, নিরাপত্তা রক্ষায় শহরের সড়কে এখনো সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এখনো যেহেতু ১৪৪ ধারা বহালআছে, সে কারণে মানুষের মধ্যে কিছুটা ভয় বা আতঙ্ক রয়েছে বলে জানান খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
"১৪৪ প্রত্যাহার করলে হয়তো জীবনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি। গতকালকে অবরোধ প্রত্যাহার হয়েছে। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরা আজ সিদ্ধান্ত নেব," বলেন মি. জুয়েল।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগের যৌথ বৈঠকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মামলা ও ১৪৪ ধারা নিয়ে যা বলছে পুলিশ
গতকাল বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি সদর ও গুঁইমারা থানায় যে তিনটি মামলা করা হয়েছে, পুলিশই বাদী হয়ে করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
গুঁইমারা থানার দুই মামলায় হত্যা, ভাঙচুর, লুটপাট, দাঙ্গা সৃষ্টি, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, দোকানপাট ভাঙচুর, আগুন দেওয়া, পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
কয়েক'শ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া গতকালই ছয়দিনের রিমান্ড শেষে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার ব্যক্তিকে আদালতে তোলা হয়। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মি. জুয়েল বিবিসি বাংলাকে জানান, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা হত্যা মামলা করতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
তিনজন কীভাবে নিহত হয়েছেন সেটি পোস্টমর্টেম প্রতিবেদন থেকে জানা যাবে, তবে এখনো সেই প্রতিবেদন আসেনি, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদন পেয়েছেন দাবি করে পুলিশ সুপার জানান, এখন এই প্রতিবেদন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা সেটা আদালতে জমা দেবে।
একইসাথে মামলার বাদী প্রতিবেদন দেখতে চাইলে আদালতে আবেদন করলে তা দেওয়া হবে, যুক্ত করেন তিনি।

ছবির উৎস,Nuruchsafa Manik
মেডিকেল প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান
'জুম্ম ছাত্র জনতা'- এই প্ল্যাটফর্মটির আহ্বানেই ধর্ষণের বিচার চেয়ে খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল।
প্ল্যাটফর্মটির মুখপাত্র কৃপায়ন ত্রিপুরা বিবিসি বাংলাকে জানান, যে মেডিকেল টিম মারমা কিশোরীর শরীরিক পরীক্ষা করেছে তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন তারা।
এর আগেও ধর্ষণের আলামত মুছে ফেলার নজির রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বিলাইছড়িতে দুইজন মারমা কিশোরীর ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর "আলামত মুছে বা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল"।
"কোনো ধর্ষণের ঘটনা যখন বিভিন্ন মিডিয়ায়, পুরো দেশে-বিদেশে প্রচার হয়, তখন প্রশাসনের মাধ্যমেই এই আলামতগুলা মুছে ফেলা হয়। মিথ্যা একটা রিপোর্ট দেওয়া হয়," বলেন তিনি।
এরই মধ্যে দুইবার বুধবার ও মঙ্গলবার প্রশাসনের সাথে এই প্ল্যাটফর্মের নেতারা বৈঠক করেছেন বলে উল্লেখ করে মি. ত্রিপুরা বলেন, "কাল মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পরও সিভিল প্রশাসনের সাথে বসছি আমরা। তাদের আমরা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছি যে এই রিপোর্ট কতটুকু গোপনীয়ভাবে প্রকাশ হয়েছে, এটা তো আপনাদের থেকে প্রকাশ হওয়ার কথা।"
তবে এই প্রশ্নের "সুনির্দিষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি" এবং আগামী রোববার আবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে বৈঠক আছে বলে জানান মি. ত্রিপুরা।
ওই বৈঠকের পরই পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বলেন মি. ত্রিপুরা।
এইচআরএফবি'র উদ্বেগ
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)- এর একটি প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাথে সাক্ষাত করে খাগড়াছড়ির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
"খাগড়াছড়ি জেলায় ওই মারমা কিশোরীর গণধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্তদের গ্রেফতার, বিচার ও শাস্তির দাবিতে স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে বলপ্রয়োগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ও এই ঘটনায় তিনজন আদিবাসী তরুণ নিহত এবং স্থানীয় আদিবাসী নাগরিকদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায়" এইচআরএফবি-এর উদ্বেগের বিষয়টি উপদেষ্টা বলা হয়েছে বলে জোটের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এইচআরএফবি প্রতিনিধি দল ওই এলাকার পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য অবিলম্বে সরকারের কার্যকর হস্তক্ষেপ ও পদক্ষেপ দাবি করেছে এবং প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়ার জন্য একটি স্মারকলিপিও হস্তান্তর করেছে।
প্রতিনিধি দলে এইচআরএফবি-এর স্টিয়ারিং কমিটি সদস্য শাহীন আনাম, সারা হোসেন, সদস্য খুশী কবির ও ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ ছয় জন উপস্থিত ছিলেন।