Image description
 

গাজার উদ্দেশ্যে আসা আন্তর্জাতিক ত্রাণ নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা-র ওপর রাতে ইসরায়েলি নৌবাহিনী অভিযান চালিয়ে অন্তত ১৩টি নৌকা আটক করেছে এবং নৌকাগুলোর থেকে প্রায় ২০০৩০০ জনের কাছাকাছি অংশগ্রহণকারীকে ধরে নিয়েছে — এতে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থানবার্গ-ও। আটক করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্য, আইনজীবী, সাংবাদিক ও পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মীদের।

 

কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আটক করা অ্যাক্টিভিস্টরা?

ইসরায়েল জানিয়েছে আটককৃতদের নিরাপদভাবে একটি ইসরায়েলি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে; সেখানে তাদের আইনি প্রক্রিয়া ও টিকা/চিকিৎসা ব্যবস্থা বিস্তারের কথা বলা হয়েছে। কিছু রিপোর্ট বলছে — আটকদারীদের প্রথমে স্থানীয় ইসরায়েলি বন্দরে নেয়া হয়েছে এবং পরে আইনগত বা কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করা হবে (কিছু ক্ষেত্রে রদবদলের মাধ্যমে বহিরাগত দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে)। একই সঙ্গে একটি জাধুরী সময় (ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠান/ছুটির কারণে) বিচারিক ব্যবস্থার কার্যকারিতা সীমিত থাকার ফলে তাদের আইনি অবস্থান কয়েকদিন “অস্থায়ী লিম্বো”-য় থাকতে পারে।

 

কারা আটক হলেন — দেশভিত্তিক ছবি

 

অর্থ্যাৎ প্রথম রিপোর্টগুলো অনুযায়ী আটককৃতদের মধ্যে ছিল নাগরিকরা — স্পেন, ইতালি, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, সুইডেন সহ মোট ৩৭টি দেশের নাগরিক। সংবাদ সংস্থাগুলি বলছে স্পেন থেকে প্রায় ৩০ জন, ইতালি ২২ জন, তুরস্ক ২১ জন, মালয়েশিয়া ১২ জন — এবং আনুমানিক ২০০–২০১ জনকে আটক করে নেয়া হয়েছে; তবে সংখ্যাগুলি ক্রমে সামঞ্জস্য হতে পারে কারণ তথ্য এখনও আপডেট হচ্ছে।

আটক প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া (যা আমরা এখন পর্যন্ত জানি)

  • কলম্বিয়া: দুই কলম্বিয়ান নারী হতেও আটক হওয়ার পর কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট কূটনীতিক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন (ইসরায়েলের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের বহিষ্কার)।

     
  • ইতালি ও স্পেন: ইতালি ও স্পেনে তীব্র জনবিক্ষোভ ও ধর্মঘটের খবর এসেছে; ইতালীয় সরকার সতর্কতা জানালেও জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্পেন সরকারের অনেকেই মিশনটিকে মানবিক উদ্যোগ হিসাবে সমর্থন করেছে বা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

     
  • তুরস্ক: তুরস্ক আটকের ঘটনাকে কঠোরভাবে নিন্দা করেছে ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে।

     
  • আয়ারল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য: আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো কিছু দেশ উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করে কিউরেটেড কূটনৈতিক ক্যানাল মাধ্যেমে ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে; মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীও তাদের নাগরিকদের আটক হওয়ায় নিন্দা জানিয়েছেন বলে রিপোর্ট আছে।

     

নৌবহরের অবস্থা এখন — এগুলো কি চালিয়ে যাবে?

ফ্লোটিলার বেশ কিছু নৌকা আটক হওয়ার পরও বাকি কয়েকদল নৌকা গাজার উপকূলের দিকে এগিয়ে যেতে চাইছে বলে চালিয়ে দিয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে প্রায় ৩০টি জাহাজ এখনও ভূমধ্যসাগরে আছে এবং গাজার উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে; তবে ইসরায়েল আগেভাগেই জানিয়েছে তারা অঞ্চলে কোনো নৌকা ঢুকতে দেবে না এবং প্রয়োজনে আটক করবে—তাই উত্তেজনা অব্যাহত। দিক–দর্শনে নৌযানগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করা, ড্রোন/অন্ধকারে ঘোরা জাহাজ ইত্যাদি সমস্যার তথ্য পাওয়া গেছে। 

আটক ও আটক-শিশ্রুতি নিয়ে আইনি-মানবতাবোধের প্রশ্ন

আক্রান্ত আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও মানবিক ছিল; অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে এটি “সঙ্ঘাতবিধায়ক অঞ্চল” এবং তারা নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাধা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক জলের আওতায় কীভাবে আচরণ করা হবে তা নিয়ে বিতর্ক চলছে—বিশেষত আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটক ও নৌবাহিনী কর্তৃক জাহাজ অধিগ্রহণের বৈধতা নিয়ে। বহু মানবাধিকার সংগঠন ও সাংবাদিক সংস্থাও সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

সংক্ষিপ্ত সারমর্ম (তাত্ক্ষণিক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট)

  • ইসরায়েল ওই রাতে ১৩টি নৌকা আটক করেছে এবং প্রায় ২০০+ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার বা আটক করেছে।

     
  • গ্রেটা থানবার্গসহ আটককৃতরা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে এবং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা “নিরাপদ ও সুস্থ” আছেন; তাদের কাছ থেকে কোথায় ও কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে—তা এখনও অর্ধ-নিশ্চিত।

     
  • বহু দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন তৎক্ষণাৎ উদ্বেগ বা নিন্দা জানিয়েছে; কিছু দেশে বিক্ষোভ-ধর্মঘট শুরু হয়েছে। কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া চলছে (কিছু ক্ষেত্রে কূটনৈতিক কর্মীর বহিষ্কারও)।