Image description

বাংলা গানের ভাণ্ডারে থাকা অসংখ্য কালজয়ী আদি বা পুরোনো গান সময়ের সাথে সাথে ক্রমেই জনপ্রিয়তার আড়ালে চলে যাচ্ছিল। আধুনিক সংগীত, বিদেশি ও ভিন্ন ধারার গান এবং নতুন ট্রেন্ডের ভিড়ে সেসব গান যেন হারিয়ে যেতে বসেছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন প্রজন্মের তরুণ শিল্পীরা সেই গানগুলো নতুনভাবে পরিবেশন করতে শুরু করেছেন। তাদের কণ্ঠে ও পরিবেশনায় পুরোনো গানগুলো ফিরে পাচ্ছে নতুন জীবন, গানপ্রেমী সাধারণ মানুষও সুর মেলাচ্ছেন তাদের সঙ্গে। ফলে তরুণদের হাত ধরেই পুরোনো বাংলা গান এখন নতুনভাবে জায়গা করে নিচ্ছে শ্রোতাদের হৃদয়ে।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, নব্বই দশকের পর বা একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে দেশের সংগীতাঙ্গনে বিদেশি যন্ত্রপাতির ব্যবহার ও গান চর্চা বেড়েছে। বিশেষ করে, মোবাইলের মতো ডিজিটাল ডিভাইস ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার বাড়ার কারণে ভারতীয় ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বা সংগীতের প্রভাব ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এসব সংগীতের মধ্যে পপ, ব্যান্ড ও ডিজে গান অন্যতম।

তাছাড়াও, নিজস্ব ধারা থেকে সরিয়ে অনেক শিল্পীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে আধুনিকতার নামে অতিরিক্ত বাদ্যযন্ত্র ও সুর পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলা গানকে বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে। এসবের প্রভাবে এক পর্যায়ে আদি বাংলা গান বিলুপ্তির উপক্রম হয়েছিল।

কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে, দেশের শত শত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রাস্তা, মাঠ, ঘাট, নদী-খাল-বিল, কৃষি ক্ষেত, দর্শনীয় স্থান কিংবা প্রাকৃতিক পরিবেশে বাউল বা লোক সংগীতসহ বাংলা ঐতিহ্যকে ধারণ করে এমন আদি বা পুরাতন গানগুলো একক বা যৌথ প্রযোজনায় দেশীয় যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে গেয়ে ভিডিও বানাচ্ছেন। সেগুলো আবার ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে আপলোড দিলে মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ছে এবং তরুণ প্রজন্মসহ সব বয়সের মানুষই তা গ্রহণ করছে।

দিন দিন তরুণদের কণ্ঠে এসব বাংলা আদি গানের চর্চা যেমন বেড়ে চলছে, ঠিক তেমনি গায়কের পরিমাণও বাড়ছে। পাশাপাশি এসব গান নতুন করে জনপ্রিয় হচ্ছে। তা ছাড়া অনেক আধুনিক গানও তারা গাচ্ছেন দেশীয় ভাবধারায়ই। এতে সংশ্লিষ্টরা স্বস্তির নিশ্বাস পাচ্ছেন এবং তাদের মাঝে আশার সঞ্চারও হচ্ছে।

“এখন ওয়েস্টার্ন, ব্যান্ড বা পপ সংগীত কিংবা বিদেশি গানের পরিবর্তে আমাদের লোক গানগুলো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এগুলোই এখন মানুষ বেশি গাচ্ছে। উদীয়মান অনেকেই দুর্দান্ত গাচ্ছেন। এটা দেখে আমার ভালো লাগা কাজ করে। আমারও ইচ্ছা সারাজীবন লোক ও বাংলা গান নিয়ে কাজ করার” - উদীয়মান শিল্পী, টাঙ্গাইল।

 

অন্যদিকে, এই যুগে তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠে বাংলা আদি গানগুলো শোনতে পাওয়ার বিষয়টিকে ‘ইতিবাচক’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তারা পরামর্শ দিয়ে বলছেন, বাংলা গানে অবশ্যই মৌলিক সুর ও ভাব ধরে রাখতে হবে। নিছক শব্দদূষণ করে এমন বিদেশি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে মৌলিকত্ব নষ্ট করা যাবে না। বাদ্যযন্ত্রের পাশাপাশি সুরকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে ফেসবুক ও ইউটিউবে ঘেঁটে দেখা যায়- শেখ সোলাইমান, পারভেজ খান, ঝুমুর সিদ্দীকি, লালন কন্যা মীম, অলোক চক্রবর্তী, অনিমেষ রায়, অনিক সূত্রধর, হারুন, ইমন, রানা, সুজন সরকার, শামীম সরকার, পাপ্পু ফকির, লালচাঁন তালুকদার, পলাশ শীল, কাউসার, মুন্না, সোহাগসহ আরও অনেকেই বাংলা কালজয়ী ও পুরাতন গানগুলো নিয়ে কাজ করছেন এবং অনলাইনে আপলোড করছেন। এক্ষেত্রে তারা অধিকাংশ সময় দেশি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে থাকেন। এ শিল্পীদের মধ্যে অনেককেই বর্তমানে বিভিন্ন টেলিভিশন ও অনুষ্ঠানে স্টেজ পারফর্মেন্স করতে দেখা যায়।

“একধরণের অপসংস্কৃতির চর্চা চলমান অবস্থায় আমাদের তরুণ প্রজন্মের বড় একটা অংশ যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, আমার মনে হয়, খুব তাড়াতাড়ি আমাদের বাংলা গান ও সংস্কৃতি চর্চার ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে পুনরুদ্ধার হবে” - শিক্ষক, সংগীত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এসব তরুণ শিল্পীদের কণ্ঠে প্রায়ই শোনা যাচ্ছে- ‘দিল্লীতে নিজামুদ্দীন আওলিয়া’, ‘যে রূপ লইয়া বড়াই কররে বেঈমান’, ‘একদিন মাটির ভিতরে হবে ঘর’, ‘যদি আরেক জনম আমি পাই গো’, ‘সোনা বন্ধু তুই আমারে করলি রে দেওয়ানা’, ‘মন মাঝি খবরদার’, ‘আমার মন মজাইয়া রে’, ‘তোমারে দেখিতে লাগে অপূর্ব সুন্দরী’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘একটু দাঁড়াও দাঁড়াও ইয়া মোহাম্মদ’ ও ‘ছেড়ে দে নৌকা মাঝি যাব মদিনা’ ইত্যাদির মতো বিখ্যাত পুরাতন বাংলা, বিশেষ করে লোক ধারার গান।

এছাড়া, ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’, ‘ইন্দুবালা’, ‘মান করে রাই’, ‘মন ভালা না রে, পিরিত ভালা না’, ‘মরিলে কান্দিস না’, ‘আমি তোমার নাম লইয়া কান্দি’, ‘ভ্রমর কইও গিয়া’, ‘আমার সোনার ময়না পাখি’, ‘চান্দের গাড়ি’, ‘পরের জায়গা পরের জমি’, ‘পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না’, ‘এক আকাশের তার তুই’, ‘শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হল’, ‘তারায় তারায় রটিয়ে দেব’ এসব গানও উল্লেখযোগ্য।

এর বাইরে, হাসন রাজার বিখ্যাত গান ‘লোকে বলে বলে রে’, ‘মাটিরও পিঞ্জিরার মাঝে’, ‘নিশা লাগিলরে’ ‘বাউলা কে বানাইলো রে’; শাহ আবদুল করিমের ‘মাটিরও পিঞ্জিরা সোনার ময়না রে’, ‘রঙের দুনিয়া তারে চাই না’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু’, ‘আমার রঙের দুনিয়া তারে চাইনা’, ‘বসন্ত বাতাসে সইগো’; লালন শাহের ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘জাত গেল জাত গেল বলে’; ‘মিলন হবে কতদিনে’; কাজী নজরুল ইসলামের গান ‘বাগিচায় বুলবুলি তুই’, ‘ত্রিভূবনের প্রিয় মোহাম্মদ’, ‘আলগা কর গো খোপার বাঁধন’ ইত্যাদিসহ আরও অসংখ্য পুরাতন গানগুলো তরুণরা নতুন করে তুলে ধরছেন।

 

তাছাড়াও দেশে কাওয়ালী গানের ইতিহাসেও কিছুটা সুদিন ফিরে এসেছে। বিশেষ করে, ইসলামী ভাবধারার বা মুসলিম সংস্কৃতি সংবলিত কাওয়ালী গানগুলো তরুণ প্রজন্ম নতুন করে সামনে আনার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে ক্বাসীদাহ, ছিলছিলা ও নাফসসহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ব্যান্ড কাজ করছে। এর আগে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কাওয়ালি গানের আসরে হামলা চালিয়ে আসরটি বানচাল করে দেয় তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীদের নেতাকর্মীরা। তখন থেকেই কাওয়ালীভক্তদের মধ্যে এক ধরনের অনুরাগ তৈরি হয়। সেই অনুরাগের বিস্ফোরণ ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পরে ঘটতে দেখা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আহমেদ হোসেন জনি। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লোক সংগীত চর্চা করেন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে প্রায়ই গানের আসরে যোগ দেন। একই সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়ে গান পরিবেশন করেন। তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি শেরপুরের একটি গ্রামের সন্তান। গ্রাম্য সংস্কৃতি আমি ভুলতে পারি না। আমার সাথে গ্রামের গান, পরিবেশ ও সংস্কৃতি মিশে আছে। সেই জায়গা থেকে বাউল বা লোকগানের আসরে আমি নিয়মিত অংশ নিতাম। যার কারণে, আমি কিছু গান আয়ত্ত করেছি এবং চর্চা করারও চেষ্টা করছি। আমরা যে পেশাতেই থাকি না কেন, আধুনিকতার ছোঁয়ায় যেন আমাদের সংস্কৃতি হারিয়ে না যায়, সে ব্যাপারে আমাদেরই চিন্তা করতে হবে এবং কাজ করতে হবে। আর ইদানীং তরুণ প্রজন্মের মাঝে লোক গানপ্রীতি অবশ্যই ভাল লাগার। যার ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অব্যাহতক থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। 

নেট দুনিয়ায় দেশব্যাপী বেশ আলোচিত ও পরিচিত মুখ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার তরুণ শিল্পী শেখ সোলায়মান। তিনি পথে-ঘাটে বা নৌকায় বসে বাউল বা লোক ধারার সংগীত গেয়ে ভিডিও বানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করেন। গানের পাশাপাশি বাঁশি, ঢোলসহ আরও কিছু দেশীয় বাদ্যযন্ত্র বাজাতেও তিনি দক্ষ। তার পরিবেশনা মুগ্ধ করে গানপ্রেমীদের। তিনি অনুভূতি জানিয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমার বেড়ে ওঠা গ্রামে। লালন শাহ, আব্বাস উদ্দিন, শাহ আব্দুল করিম, হাসন রাজাদের গানই আমার শোনা হয়েছে বেশি। আর এগুলো তো আমাদের শেকড়ের গান। এগুলো আঁকড়ে ধরেই বেঁচে থাকতে হয়।

তিনি আরও বলেন, এখন ওয়েস্টার্ন, ব্যান্ড বা পপ সংগীত কিংবা বিদেশি গানের পরিবর্তে আমাদের লোক গানগুলো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এগুলোই এখন মানুষ বেশি গাচ্ছে। উদীয়মান অনেকেই দুর্দান্ত গাচ্ছেন। এটা দেখে আমার ভালো লাগা কাজ করে। আমারও ইচ্ছা সারাজীবন লোক ও বাংলা গান নিয়ে কাজ করার।

 

বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সংগীত বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. দেবপ্রসাদ দাঁ’র সঙ্গে। তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের লোক সংগীতের আদি যে ধারা ছিল সেটা আবার ফিরে আসার বিষয়টি খুবই আনন্দের। লোক গান এ দেশের প্রকৃতি ও মাটির এবং আমাদের আত্মার সঙ্গে সম্পর্কিত, এজন্য এগুলো মাটি ও মানুষের গান। এ গানের মাধ্যমে সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্না সবকিছুরই বহিঃপ্রকাশ ঘটানো যায়। বর্তমানে কিছু ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করছি, আমাদের তরুণ প্রজন্ম লোক গানে দেশি যন্ত্রের পাশাপাশি বিদেশি যন্ত্রও ব্যবহার করছে এবং মৌলিকত্বও ঠিক থাকছে। বিষয়টি ভালো লাগার। আমরা চাই, এভাবেই আদি গানগুলো ফিরে আসুক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের লোক গানগুলোর মাধ্যমে আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতি বহির্বিশ্বে পরিচিত হোক। পাশ্চাত্যের মানুষও আমাদের দেশের গান পছন্দ করেন। কারণ তারা পাশ্চাত্য যন্ত্রপাতির যন্ত্রণায় বিরক্ত। আমি ছোট থাকতে দেখেছি, সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বিদেশিরা শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে একতারা-দুতারার গানের অডিও ক্যাসেট খুঁজত।

তরুণদের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে বিশিষ্ট এ সংগীতজ্ঞ বলেন, প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। কোথাও অপসংস্কৃতির আলাপ তখনই উঠে যখন, অপরের সংস্কৃতিকে গ্রহণ করে নিজের সংস্কৃতি বিলোপ করার উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে একধরণের অপসংস্কৃতির চর্চা চলমান অবস্থায় আমাদের তরুণ প্রজন্মের বড় একটা অংশ যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, আমার মনে হয়, খুব তাড়াতাড়ি আমাদের বাংলা গান ও সংস্কৃতি চর্চার ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে পুনরুদ্ধার হবে।

আশা প্রকাশ করে ড. দেবপ্রসাদ দাঁ বলেন, আমাদের সংস্কৃতি ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদেরই। বাংলা গানের শ্রোতা বাড়তে থাকলে একসময় গানগুলোতে বিদেশি যন্ত্রের ঝংকার থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। বিদেশি অনেক যন্ত্র গানে সাউন্ড পলিউশান তৈরি করে। বিয়েসহ কোনো কোনো অনুষ্ঠানে আগে আমরা দেখতাম দেশীয় পদ্ধতিতে গান বা গীত গাওয়া হত। কিন্তু মাঝে আমরা দেখেছি, এসব অনুষ্ঠানে ডিজে গানের ব্যবহার প্রকট আকার ধারণ করেছিল। কিন্তু এখন এটা অনেক কমে আসছে ক্রমেই। এভাবেই শুধু লোক গান নয়, বাংলা আধুনিক গান ও সংস্কৃতিতে স্বকীয়তা ফিরবে।

সবশেষে ড. দেবপ্রসাদ দাঁ বলেন, আমাদের সবাইকেই সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নিজস্ব স্বকীয়তা ও সম্পদে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ, আমাদের দেশের অনেক কালজয়ী গান বিদেশি বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে বিকৃত করা হয়েছে। সেটাকে মানুষ গ্রহণ করে ফেলার পর মূল ফরম্যাটের গানকে আর গ্রহণ করতে পারে না, তখন একটা বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। যারা গান করছেন তাদের কাছে আমার অনুরোধ, আমাদের গানের সুর, শব্দ, ভাব, গাম্ভীর্য ও মৌলিকত্ব অবশ্যই ঠিক রাখতে হবে। আর যারা গান শুনবেন বা শুনছেন বা গানপ্রেমী তাদেরও তাদের জায়গা থেকে বৃহৎ স্বার্থে সংশোধনী দিতে হবে এবং সমালোচনা করতে হবে।