Image description

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফেনীতে সম্ভাব্য প্রার্থীর ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে। বিশেষত বিএনপির অনেক নেতা মাঠে-ময়দানে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। তিনটি আসনেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত একক প্রার্থীরা প্রচারণায় রয়েছেন। এ ছাড়া আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, জাসদ, বাসদসহ অন্যান্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নেমেছেন গণসংযোগে।

ফেনী-১ : ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসন থেকে বিজয়ী হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পর পর তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও তাঁকেই প্রার্থী চান স্থানীয়রা। তবে দলীয় সূত্রের মতে, অসুস্থতার কারণে বেগম জিয়া নির্বাচন করতে না চাইলে এখানে বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন ঢাকা মহানগর  হতে পারেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সহসম্পাদক বেলাল আহম্মদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও প্রয়াত সাঈদ ইস্কান্দারের ছেলে ব্যারিস্টার শামস ইস্কান্দার।

এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য অ্যাডভোকেট এ এস এম কামাল উদ্দিন।
তিনি এলাকায় নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি মাওলানা নাজমুল আলম এবং খেলাফত মজলিসের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আবদুল আজিজ আহম্মদীকে নিজ নিজ দলের একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে জেলা কমিটির উপদেষ্টা মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আল মোবারককে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

ফেনী ২ : সদর উপজেলা নিয়ে এই আসন থেকে বিএনপির টিকিটে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবদীন (ভিপি জয়নাল)।
এবারও তিনি মনোনয়ন পেতে পারেন। এ ছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিবুল্যাহ মানিক, আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, কানাডা বিএনপির সহসভাপতি হুমায়ন কবির।

এখানে জামায়াতের প্রার্থী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও সাবেক জেলা আমির অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভুঁইয়া। এ ছাড়া এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা একরামুল হক ভুইয়া প্রার্থী হতে পারেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশিদ ভুইয়া, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সলকে দলীয় একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

যোগ্যতাকেই গুরুত্ব দেবেন ভোটাররা

ফেনী-৩ : দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলা নিয়ে এই আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বা তাঁর ছোট ছেলে তাজওয়ার আউয়াল প্রার্থী হতে পারেন এমন আলোচনা রয়েছে। আবার সাবেক এমপি মোশারফ হোসেনের পরিবারের কেউও প্রার্থী হতে পারেন। এ ছাড়া আলোচনায় রয়েছে জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. নিজাম উদ্দিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহসম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহানা আক্তারের নাম।

এখানে জামায়াতের একক প্রার্থী মজলিসে শুরার সদস্য ও সাবেক কেন্দ্রীয় শিবির সভাপতি ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক। জেএসডির (রব) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন স্বপন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা এনামুল হক নিজ নিজ দলীয় প্রার্থী হতে পারেন।

তবে তৃণমূলের ভোটারদের ভাষ্য, দেশ ও মানুষের কল্যাণে যাঁরা যোগ্য বলে পরিচয় দেবেন, তাঁদেরই সংসদ সদস্য হিসেবে বেছে নেবেন তাঁরা।