
বন্ধুকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ফাহিমা সুলতানা মারিয়া নামে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শহর মসজিদ রশিদ কলোনির একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
জানা গেছে, নিহত ফাহিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম ব্যাচের ফলিত গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শহরের রশিদ কলোনী এলাকার ওই বাসার দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন ছাত্রী। বিকেল থেকে ওই ছাত্রীকে অনেকবার ফোন করে ফোনে না পেয়ে তার পরিবার থেকে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ ব্যাচের ছাত্র ফাহিমার বাবার চাচাতো ভাই ফাহাদ পাটোয়ারীকে খবর দেওয়া হয়। পরিবার থেকে ফোন পাওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি গিয়ে দরজা ভেঙে দেখেন ভেতরে জানালার সঙ্গে ফাহিমার লাশ ঝুলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর জামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সম্ভবত বিকেল চারটার দিকে ওই ছাত্রী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তার এক বন্ধুকে ভিডিও কলে রেখে মেসের জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। প্রাথমিকভাবে তার সামনে পুলিশ মুঠোফোন পরীক্ষা করে এমন আলামত পেয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে। ঘটনার সময় ফাহিমার ব্যবহৃত মুঠোফোনের ভিডিও কল চালু ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।