
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো একটি ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ভিডিওটি চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় ১৩ সেপ্টেম্বর জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধের জেরে নওরীন সুলতানা নামে এক তরুণীর ওপর হামলার ঘটনা।
আজ শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ পুলিশের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ভুক্তভোগী তরুণী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, চট্টগ্রামের একটি কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় নওরীন ও তার পরিবারের সদস্যরা আহত হন এবং মামলাও দায়ের হয়। পুলিশের তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে এ ঘটনার সঙ্গে ধর্ষণের কোনো সম্পর্ক নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর ফেলে রাখার দাবিটি সত্য নয়।
এর আগে ফেক্ট চেক প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টওয়াচ এ ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চে চট্টলচিত্র নামের একটি ওয়েবসাইটে নওরীনের আহত হওয়ার ছবিটি পাওয়া যায়। এই ছবিটিই রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর রাস্তার পাশে ফেলে যাওয়ার দাবিতে প্রচার হচ্ছে। ওয়েবসাইটটিতে গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নওরীনের ঘটনাটি নিয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়।