Image description
 

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, বিএনপি যদি ডুবে যায় তবে সেটা কেবল দলের ব্যর্থতা হবে না, বরং পুরো দেশের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি বয়ে আনবে। তার মতে, বিএনপির ব্যর্থতা কোনোদিনই এককভাবে দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং তা সবসময়ই জাতীয় ব্যর্থতায় রূপ নিয়েছে।

 

 

 

 

ওয়ান ইলেভেনের ঘটনাতেও বিএনপি একা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, পুরো দেশই তার প্রভাব ভুগেছে। তিনি মনে করেন, বিএনপির ভেতরে একটি মানসিকতা তৈরি হয়েছে—অনেক নেতা মনে করছেন তারা ইতোমধ্যেই ক্ষমতায় আছে, কেবল গণভবন দখল করাটাই বাকি। এই মনোভাব সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করছে যে, আমরা কি আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবো কিনা।

 

তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে প্রমাণ করে দেখাতে হবে যে তারা অতীতের ভুলে ফিরবে না। বিএনপির সমালোচনা যতবারই করা হোক না কেন, তা সবসময় দলটিকে ধরে রেখেই করতে হবে, কারণ এই দল রাষ্ট্রীয় স্বার্থের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। শরীফ ওসমান হাদী সতর্ক করে দেন যে বিএনপি যদি দিল্লির কাছাকাছি গিয়ে নিজেদের প্রমাণ করতে চায়, তবে তারা কখনো আওয়ামী লীগের মতো পরীক্ষিত বন্ধু বা বড় দাস হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ শহীদ জিয়ার রক্ত ও বেগম জিয়ার নাম এখনও দলের সঙ্গে যুক্ত, তাই তাদের জনগণের শক্তির ওপর নির্ভর করাই একমাত্র পথ।

তিনি সাক্ষাৎকারে বিএনপির প্রকৃত মাজলুমদের কথাও স্মরণ করেন। তার মতে, প্রকৃতভাবে নিপীড়িত ছিলেন সেই লাখ লাখ কর্মী, যাদের টকশো বা বড় মঞ্চে দেখা যায় না। অনেক কর্মী পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবনে ভয়াবহ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এমনকি ঢাকায় এক কর্মী তার বাবার জানাজায় পর্যন্ত অংশ নিতে পারেননি, শুধু বিএনপি করার কারণে। এই ত্যাগের বিপরীতে আজ যারা বড় বক্তৃতা দিচ্ছেন বা বিদেশে থেকে নিজেদের ত্যাগী হিসেবে উপস্থাপন করছেন, তারা আসলে প্রকৃত মাজলুম নন—এটা সাধারণ মানুষ ভালোভাবেই জানে।

 

 

শরীফ ওসমান হাদী বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য শহীদ জিয়ার বিএনপি এবং বেগম জিয়ার বিএনপি প্রয়োজন। যদি দল সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা জনগণের শক্তিকে পাশে না রেখে দিল্লির দিকে ঝুঁকবে, তবে তরুণ প্রজন্ম নতুন করে শহীদ জিয়ার রাজনীতিতে ফিরে আসবে। তিনিও ঘোষণা দেন, ইনকিলাব মঞ্চ সেই উদ্যোগে যুক্ত থাকবে।