Image description

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) খাতের বরাদ্দকৃত ৭৭ দশমিক ৮৩৫ মেট্রিক চালের হদিস মিলছে না। অথচ বরাদ্দ দেয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও দায়ী পরিবেশকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন বা খাদ্য বিভাগ।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৫ হাজার ৫৬৭ জন কার্ডধারীর জন্য গত জুলাই মাসে চাল বরাদ্দ হলেও তারা কেউ তা পাননি। খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের রেজিস্টার অনুযায়ী, পরিবেশক হোসেনিয়া কান্তা ঋতু সরকারি গুদাম থেকে চাল উত্তোলন করেন। নিয়ম অনুযায়ী আট ইউনিয়নের টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে ৫ কেজি করে চাল বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা বিতরণ হয়নি।

আট ইউনিয়নের মধ্যে ছয়জন টিসিবি ডিলার বরাদ্দ না পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। দুইজন ডিলার চাল পাওয়ার কথা বললেও কার্ডধারীরা অভিযোগ করেছেন, তেল-চিনি পেলেও চাল পাননি। ফলে অনেকে বাজার থেকে বেশি দামে চাল কিনতে বাধ্য হয়েছেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মজনুর রহমান জানান, ডিলারকে প্রমাণ হাজির করতে বলা হয়েছে; অসংগতি পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর আক্তার দাবি করেন, তার জানা মতে সব চাল বিতরণ হয়েছে, অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে।

ওএমএস নীতিমালা অনুযায়ী, বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ প্রমাণিত হলে দ্বিগুণ মূল্যে জরিমানা, লাইসেন্স বাতিল ও ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে।